Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল মুক্তিযুদ্ধের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২১, ৩:০৬ পিএম

জিয়াউর রহমানের ‘বীরোত্তম খেতাব’ সরকার বাতিল করলে তা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।


তিনি বলেন, আমরা বার বর বলছি, জামুকার(জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) কোনো এখতিয়ার নেই এই বিষয়ে(জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল) সিদ্ধান্ত নেয়ার। সরকার যদি এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং এই সরকার যে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্বাস করে না সেটাই প্রমাণিত হবে।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও তথ্য তুলে ধরছি। মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও উপাত্ত যেভাবে আমরা উপস্থাপন করছি তাতে আমরা দেখতে পারছি যে, যারা এখন সরকারে আছেন আওয়ামী লীগ তারা নানাভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তারা প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে আবার ইতিহাসকে খন্ডিত করছে, আবার ইতিহাসকে তারা বিকৃত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে।

আপনারা জানেন যে, মুক্তিযুদ্ধের যদি প্রকৃত ইতিহাস বলতে যাই সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেউ লিখতে পারবে না। আমরা বিভিন্ন সভায় ইতোমধ্যে বক্তব্য রেখেছি যে, বাংলাদেশে কোনো একজন সেনা অফিসার পাকিস্তানের ছাউনি থেকে প্রথম যে পাকিস্তান ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রিভোল্ড করেছে তার নাম অস্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যে প্রকৃত সত্যগুলো তুলে ধরছি বলে আওয়ামী লীগের সহ্য হচ্ছে না, বর্তমান সরকারের সহ্য হচ্ছে না। সেই কারণে তারা বিকৃত ইতিহাস দিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। সেই কারণে আপনারা দেখবেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তার পরিবার ও বিএনপিকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। কারণ তারা দূর্বল।


মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৫০ বছরে যত গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস যদি আমরা পর্যালোচনা করি সেখানে আওয়ামী লীগ আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়। সেথানে বিএনপির সকল ক্ষেত্রে সফলতা। যেমন স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিলো গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকে কারা হত্যা করেছেন? আজকে যারা ক্ষমতায় ৭৫ সালে বাকশাল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। আবার কে এই গণতন্ত্রকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন? যিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সেই জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বাকশালকে মাটি দিয়ে। আবার হোসেইন মো. এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই যে ইতিহাস তাতে প্রত্যেক জায়গায় আওয়ামী লীগ পেছনে পড়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থায়ী কমিটির সদস্য করোনায় আক্রান্ত সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রআপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরীর আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির কর্মসূচি তুলে ধরেন কমিটির সদস্য সচিব আবদুল হাই শিকদার।


সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান সারোয়ার, নজরুল ইসলাম মনজু, ফরিদা ইয়াসমীন, রিয়াজ উদ্দিন নসু, শায়রুল কবির খান, শাহজাহান সম্রাট, রিটা আলী, মনিরুজ্জামান মনির, এনামুল হক জুয়েল, মিজানুর রহমান, রফিক লিটন, আরিফুর রহমান মোল্লা প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ