Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মীরসরাইয়ে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চোর চক্র

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২১, ১:৫৭ পিএম

মীরসরাইয়ে মোটরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। একের পর এক চুরির এসব ঘটনা ঘটলেও জড়িতদের উল্লেখযোগ্য কেউ শনাক্ত বা গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশাসনকে দূষছেন চুরি হওয়া মোটরসাইকেল মালিকরা। বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কোথাও নিরাপদে মোটরসাইকেল রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সূত্র জানায়, এলাকাভিত্তিক একাধিক সিন্ডিকেট এই চুরির সাথে জড়িত রয়েছে। চুরি করা মোটরসাইকেলগুলো নাম্বারপ্লেট পরিবর্তন করে আশপাশের উপজেলা ও দূরে কোথাও বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দু-এক দিন পরপর মোটরসাইলের চুরির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, মিঠাছড়া, মীরসরাই সদর, আবুতোরাব, মায়ানী এলাকায় বেশি চুরি হচ্ছে।
উপজেলার ১৩নং মায়ানী ইউনিয়নের সিরাজী মুন্সিবাড়ি পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিনের জানান গত ৭ মার্চ রাতে আমার বাড়ির গেইট ১৫৫ সিসির একটি অনটেস সুজুকি জিক্সার (নেভি ব্লু) মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন মীরসরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আশরাফ।
২৩ ফেব্রুয়ারি বারইয়ারহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বপ্নীল ভবন থেকে ফেমাস ডেকোরেটার্সের মালিক আবুল কালাম ফরিদের মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরদিন জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ফরিদ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ১০নং মিঠানালা ইউনিয়নের পুর্ব মলিয়াইশ রহমানিয়া এলাকায থেকে আকাশ রহমানের আরটিআর মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায় চোর দল।
গত ৩১ ডিসেম্বর মীরসরাই সদরের গোভনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আবছারের ঘরের বারান্দা থেকে গেট ভেঙে মীরসরাই বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইলের মোটরসাইকেলও চুরি হয়ে যায়। ১৮ ডিসেম্বর রাতেও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলমের বাড়ি থেকে তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনের মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী এমরান, মিঠাছড়া বাজারের ফারুক হোসেন, এস এম লাইব্রেরির সামনে থেকে মাঈনুল হোসেন, জামশেদ মাস্টার, আলফা টেইলার্সের সামনে থেকে দিদারুল আলমের, পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে মীর হোসেন, ওয়ান ব্যাংকের সামনে থেকে মিজান মেম্বারের, পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে আকতার হোসেনে, মায়ানী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুল করিম লিটন এর বাড়ি থেকে ডিসকভার ১০০সিসি, আবুতোরার দুবাই ট্রেডার্স মালিক গিয়াস উদ্দিনের জারা মোটরসাইকেল চুরি হয়।
ভুক্তভোগী আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ির ভেতরে রাখা মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। এরপর অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও আর পাইনি। গত দেড় মাসে শুধু জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। একটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মীরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান পিপিএম বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি এবং মোটরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেটদের খুঁজে বের করার অভিযান অব্যাহত রেখেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ