Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফতুল্লা পাগলার অপরাধ জগত ইমরান-লিমনের নিয়ন্ত্রণে

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২১, ১:১৪ পিএম

সহোদর দুই ভাইয়ের ছত্রছায়ায় ফতুল্লার পাগলা-কুতুবপুরের বটতলা, বউবাজার, শাহী মহলা, আকনপট্টি, প্যারাডাইস সিটি ও মল্লিকের মাঠ সহ আশপাশ এলাকা হয়ে উঠেছে অপরাধ আর অপরাধীদের অভয়ারণ্য। সরকারদলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সহোদর দুই ভাই লিমন ও ইমরান পাগলা বটতলায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে এক শ্রেনীর পেশাদার অপরাধীদের ব্যবহার করে উল্লেখিত এলাকাজুড়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, নারী দিয়ে ব্যাল্ক মেইলিং, বিচার-শালিসীর নামে অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজী, ফ্ল্যাট ব্যবসা সহ সমাজ বিরোধী নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীর জীবন যাত্রাকে করে তুলেছে অসহনীয় যন্ত্রণাময়। সহোদর দুই ভাই লিমন ও ইমরানের হাতে কেহ নির্যাতিত বা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ভয়ে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করেন না।
তথ্য মতে, সরকারদলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লিমন ও ইমরান তাদের সহোযোগিরা উল্লেখিত এলাকাজুড়ে কায়েম করছে ত্রাসের রাম-রাজত্ব। গড়ে তুলেছে বিশাল মাদকের বাজার। উল্লেখিত এলাকাজুড়ে অতিতের যে কোন সময়ের চাইতে বর্তমানে মাদক হয়ে উঠেছে অতিমাত্রায় সহজলভ্য। প্রতিটি অলি-গলিতে হাত বাড়ালেই মিলছে হালের ক্রেজ খ্যাত ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা, ফেনসিডিল, দেশীয় তৈরী মদ, বিয়ার ও হেরোইন সহ নানা মাদকদ্রব্য। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি লিমন-ইমরান বাহিনীর সদস্যরা নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের নামে চাঁদাবাজী, বিচার-শালিসীর নামে অর্থ আত্মসাৎ, সুন্দরী নারী-তরুণী দিয়ে ফ্ল্যাট ব্যবসার পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ধনী, টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ আদায়ের মতো ভয়ংকর সব অপরাধের জন্ম দিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।থানা পুলিশের কথিত সোর্সরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদেরকে সহোযোগিতা করে থাকে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে, এ সকল অপরাধীদের সাথে থানা পুলিশের বেশ কয়েক কর্মকর্তার সাথে রয়েছে গভীর সখ্যতা। সে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রায় রাতেই দেখা যায়, পাগলা রেললাইন বটতলাস্থ লিমন-ইমরানের অফিসে খোশগল্পে মেতে থাকতে। লিমন-ইমনের রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর পুলিশের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে। ফলে নির্যাতিত ভুক্তভোগীদের কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও নতুন করে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর রোষানলের শিকার হবার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ বা আইনি সাহায্য গ্রহণ করার সাহসটুকু পর্যন্ত করেন না।
তথ্য মতে, বউবাজার, বটতলা, শাহীবাজার, আকনপট্টি, প্যারাডাইস সিটি ও মল্লিকের মাঠ সহ আশপাশ এলাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণে ইমরান-লিমনের রয়েছে বিশাল এক বাহিনী। এই বাহিনীর উল্লেখ্যযোগ্যরা হলো- ইমরানের ডান হাত খ্যাত ইব্রাহিম ওরফে ডিলার ইব্রাহিম, সামাদ, কালা চানঁ, ফোটনা রাসেল, ইমরানের চাচাতো ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী নাঈম। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাং লিডার সোহান ওরফে ভাগ্নে সোহান, চাঁদ সিকদারের ভাই জসিম, বউবাজারের ফেন্সিডিলের ডিলার, সোহানের বাবা কালা জাহাঙ্গীর, ইয়াবার ডিলার ফারদিন, সাইফুল, গেমস লিটন, প্লাবন মানিক, সাইফুল ও মোস্তফা।
এছাড়া উল্লেখযোগ্যরা হলো- নাবিল, মদ রনি, জিয়া, লিটন, মোজাম্মেল, গোলাপ, সিরাজ,জাকির, শাওন ডিজে রাকিব, রবি রায়হান, রকি, মোক্তার, ফারদীন ও এসকে শরীফ এরা সকলেই উলে¬খিত এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও এদের প্রায় সবাই কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদকাসক্ত।
স্থানীয় সকল পেশাজীবি মহলের দাবী ছাত্রলীগ নামধারী ইমরান-লিমন সহ উল্লেখিত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হলে অনেকাংশেই নির্মূল হবে পাগলার রেললাইন বটতলা, শাহী মহল্লা, আকনপট্টি, প্যারাডাইস সিটি ও মল্লিকের মাঠ সহ আশপাশ এলাকার অপরাধ। আর তাই তাদেরকে গ্রেফতারে জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ