পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের বন্ধু ছিলো না। দুঃখ হয় যে, তারা এক সময়ে পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। তারা সেই গণতন্ত্রের মধ্যে আর তারা নিজেদের ধারণ করতে পারছে না। কারণ গণতন্ত্র হলে তো ক্ষমতা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, সবাইকে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে, গণতন্ত্র মানলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে-এগুলোর মধ্যে তারা নেই। তারাই সব। তারাই মালিক, আমরা হচ্ছি সব প্রজা। এভাবে গোটা বাংলাদেশকে তারা বরাবরই দেখে এসছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে চিকিৎসা ও সেবা কমিটির উদ্যোগে সারাদেশের মহানগরে একযোগে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ দেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছি, ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়ে গেছেন, মা-বোনেরা সম্ভ্রম দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক চেতনা, সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ আজকে দেশে একটা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এদের এখনকার লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশকে লুট করে নেওয়া। বর্গীরা যেমন বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেতো, আজকে তারা সমস্ত বাংলাদেশকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে কানাডার বেগমপাড়ায় অথবা মালয়েশিয়াতে অথবা আমেরিকাতে-ফ্লোরিডাতে, ইংল্যান্ডে তারা বাড়ি-ঘর তৈরি করছে। ৫০ বছর পরে তাই শপথ নিতে হবে, আমাদেরকে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, এদেরকে সরাতে হবে।
দলীয়করণের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সারাদেশে যেভাবে ভয়, ত্রাস ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সেখানে গণতন্ত্র চলতে পারছে না। যাদের গায়ে এতটুকু বিএনপির গন্ধ আছে তাদের চাকরি চলে যাচ্ছে। সেটা চিকিৎসক, সেনাবাহিনী, পুলিশ সব সেক্টরে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তারা সুপরিকল্পিতভাবে সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। এই মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রামে যাদের অবদান সেগুলোকে একেবারেই খাটো করে অথবা একেবারেই না বলে মাত্র একটি ইতিহাস তারা বলতে চেয়েছে তা হচ্ছে যে, এই পুরো স্বাধীনতার জন্য একজন ব্যক্তি, একটি পরিবার, একটি গোষ্ঠি বা একটি রাজনৈতিক দলই একমাত্র কৃতিত্বের দাবিদার। এটি সত্য নয়। স্বাধীনতা একদিনে কোনো একটা ভাষণের ফলে যুদ্ধের পরিণত হয় নাই।
স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়। আর বিএনপি সকল ক্ষেত্রে দেখা যায় সফলতা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এই গণতন্ত্রের আন্দোলন, অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনে, সামাজিক সাম্যের আন্দোলনে এবং রাজনৈতিক সাম্যের আন্দোলনে সকল ক্ষেত্রে যদি আমরা প্রকৃত ইতিহাস আজকে তুলে ধরি তাহলে আওয়ামী লীগ সেখানে ব্যর্থ, বিএনপি সেখানে সফল। সেজন্য আওয়ামী লীগ বিএনপির নাম শুনলে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম শুনলে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা হিয়ার নাম শুনলে, তারেক রহমান নাম শুনলে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়, কম্পন শুরু হয়। এই দূর্বলতাকে ঢাকার জন্য তারা প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায়।
চিকিৎসা ও সেবা কমিটির কমিটির সদস্য ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ড্যাবের এমএ সেলিম, জহিরুল ইসলাম শাকিল,শহিদুল আলম, পারভেজ রেজা কাঁকন, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, মেহেদি হাসান, সম্মলিত পেশাজীবী পরিষদের শামীমুর রহমান শামীম, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, মতস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।