Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

পটিয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০৫ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরে পানি চলাচলের একটি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলছে। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া এলাকায় শ্রীমাই মরা খালের ওপর আবুল কাসেম নামের একব্যক্তি এই স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে খাল দখল করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও পৌর কতৃপক্ষ নীরব।

জানা যায়, এ বিষয়ে এলাকার লোকজন পৌর কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এ খালের মধ্যে পটিয়া সরকারি কলেজ এলাকা থেকে শুরু করে শীলপাড়া পর্যন্ত অনেকে ইতোমধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত করেছে। ফলে প্রতি বর্ষা মওসুমে ওই এলাকার ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। মাটি দিয়ে খাল ভরাটের কারণে দিন দিন এ খাল ছোট হয়ে আসছে। খালের মধ্যে পলিথিনসহ ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে বর্তমানে দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠেছে। ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার নেই কোনো উদ্যোগ।

জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির পটিয়া পৌরসভা এলাকার পানি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম শ্রীমাই মরা খাল। পটিয়া বাসস্টেশন এলাকা থেকে খালের প্রবাহ শুরু হয়ে পটিয়া ইন্দ্রপুল চাঁনখালী খালে যুক্ত হয়েছে। খালের দুই পাশে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ও ৫নং ওয়ার্ডের অন্তত তিন হাজার পরিবারের বসতি। দীর্ঘদিন পৌর কর্তৃপক্ষ খাল সংস্কার কিংবা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন খাল ভরাটসহ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক বাড়ছে। পটিয়া কলেজ গেট এলাকা, হাজীর পাড়া, শীল পাড়া, সরদার পাড়া, রাজার বাড়ি, এস আলম বাড়ি, ছদু তালুকদার বাড়ি, আদু তালুকদার বাড়িসহ বেশকিছু এলাকায় খালের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির কারণে শ্রীমাই মরা খালটি ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবুল কাসেম জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নিয়ে খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ ও পাকা ভবন নির্মাণের কাজ করছে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বিনা কারণে বিরোধীতা করছে।

এ প্রসঙ্গে পটিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, খালের উত্তর পাড়ে পাকা ভবন নির্মাণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। কিন্তু খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে কোনো ধরনের অনুমোদন দেয়া হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ