Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুন্ড পাহাড়ে বেগুন চাষে স্বাবলম্বী

শেখ সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০৫ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পাহাড়ে উত্তরা জাতের বেগুন চাষে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন কৃষক মো. শিবলু। তিনি উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জাহানাবাদ খাদেমপাড়া গ্রামের কৃষক মো. ফরিদুল আলমের ছেলে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গত দেড় মাস পূর্বে উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের নতুন প্রজাতির অনেক সুস্বাদু সবজি উত্তরা জাতের বেগুন চাষ করেন।

কৃষক মো. শিবলু জানান, পাহাড়ি এলাকায় সবজি চাষে তেমন সার দিতে হয় না। এখানের মাটি প্রচুর উর্বর। তাই যে কোনো সবজি এখানে ভালো জন্মে। চলতি মৌসুমে পাহাড়ের ঢালুতে আমি ৫ হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেছি। তার মধ্যে শুধু ৮০শতক জমিতে উত্তরা জাতের বেগুনের চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবং এ বøকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আক্তারও বিষমুক্ত সবজি ও কীটনাশক ছাড়াই বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষে আমাদের উদ্ভোদ্ধ করছেন।

ফসলে পোকা দমনেও নতুন নতুন প্রযুক্তি ফেরোমন ফাঁদ ও হলুদ টেপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ এলাকায় মো. শাহ্ আলম, রাজ্জাক, মো. ইসমাইল, মহিউদ্দিন, শাহাবুদ্দিন, মো. লোকমানসহ প্রায় ১৫ জন কৃষক পাহাড়ের ঢালুতে বেগুন চাষ করেছেন। এতে তারা অনেক লাভবানও হচ্ছেন। খুবই অল্পদিনে মাত্র দেড় মাসে গাছে বেগুন ধরা শুরু হয়। তিনি আরো জানান, শ্রমিক ও বাঁশের কন্সিসহ সব মিলিয়ে আমার দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত পাইকারিতে প্রতি কেজি ২৫টাকা হিসেবে ৩ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। বাজার দর এ অবস্থায় থাকলে আরো ১ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

এদিকে জাহানাবাদ বøক খাদেম পাড়ায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, অধিক লাভের আশায় জাহানাবাদ বøকের শুধু খাদেমপাড়ায় পাহাড়ের ঢালুতে ১৫ জন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে বেগুনের চাষ করেছেন। সে ধারা অনুয়ায়ি অধিক পরিশ্রমি কৃষক মো. শিবলুও অন্যান্য কৃষকের মতো এবার উত্তরা জাতের বেগুন চাষ করে আর্থিকভাবে ব্যাপক স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার মতো এ বøকের অনেকই প্রতি মৌসুমে বেগুন চাষকরে লাখ লাখ টাকা আয় করে চলেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার রঘুনাথ নাহা জানান, জাহানাবাদ এলাকার কৃষক শিবলু উত্তরা জাতের সুস্বাদু বেগুন চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহযোগীতাসহ নানাভাবে তাদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। তাই বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে স্বফলতা অর্জন করছেন এখানকার কৃষি পরিবারগুলো। তিনি আরো জানান, উপজেলায় ১৮০শতক জমিতে ১২৫০ জন কৃষক বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষ করেছেন। তার মধ্যে ৩ হেক্টর জমিতে উত্তরা জাতের বেগুন চাষ হয়েছে এবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ