বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় প্রতিপক্ষের হামলায় ফয়েজ মিয়া নামক এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ জন। নিহত ফয়েজ মিয়া নিমবাড়ি গ্রামের মৃত লেবু মিয়ার পুত্র। কসবা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
২০১৭ সালে নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী নারগিছ আক্তার (৩৫) ও নিমবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, একই গ্রামের হাজী জমশেদ মিয়া ও হাজী সুদন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সুদন মিয়ার দলের একই গ্রামের লেবু মিয়ার পুত্র রহিজ মিয়া প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। ওই হত্যা মামলায় স্বাক্ষী ছিলেন নিহতের বড় ভাই ফয়েজ মিয়া (৫৫)। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে আগামী ৯ এপ্রিল স্বাক্ষী দেয়ার কথা ছিল ফায়েজ মিয়ার।
ওই হত্যা মামলার রায়ে প্রতিপক্ষের ফাঁসি হওয়ার ভয়ে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় ফায়েজ মিয়া গ্রামের বাজারে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন ফয়েজ মিয়াকে টেটা দিয়ে পায়ে ও বুকে আঘাত করলে ফায়েজ মিয়াসহ ৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ফায়েজ মিয়া (৫৫) কে আশংকাজনক অবস্থায় কসবা হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর আহত সুদন মিয়ার পুত্র ফায়েজ উদ্দিন (৪০) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও রহিজ মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমান (২০) কে কসবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ফয়েজ উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়া জানান, উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।