পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের জমায়েত, সভা-সমাবেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা। গত বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজের পূর্বপাড়ে ফজলুল করীম (রহ.) জামিয়া ইসলামীয়া ময়দানে এই ইজতেমা শুরু হয়। আগামীকাল সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এই মিনি ইজতেমা শেষ হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে সকল ধরণের গণজমায়েত অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধের নির্দেশ থাকায় ইজতেমা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।
গতকাল বিকালে ইজতেমা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল মাঠ জুড়ে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটেছে। উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে মাইকে বয়ান করছেন মুরুব্বিরা। থেমে থেমে চলছে জিকির। সড়কে তখনও মুসল্লিদের সমাগম। স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের ভিড় সামাল দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠের চারপাশে, সড়কের ধারে খাবার ও বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে বসেছে অস্থায়ী দোকান।
ইজতেমার আয়োজক বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিবুল্লাহ বলেন, গত বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর বয়ান শুরু হয়েছে। আগামীকাল ফজরের নামাজ শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তিন দিনের ইজতেমা সমাপ্ত হবে। ইজতেমা ইন্তেজামিয়া কমিটির আহ্বায়ক মোখছেদুর রহমান জানান, প্রতিবছর বড় পরিসরে ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এ বছর পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত আকারে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সকল ধরণের গণজমায়েত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি রয়েছে। ফলে আয়োজকদের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।