পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাটহাজারীর একটি মাদরাসায় ৮ বছরের শিক্ষার্থীকে প্রহারের ঘটনায় শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা কোনো পক্ষের চাপের কারণে প্রত্যাহার করেছে কি-না সেটিও জানাতে বলা হয়েছে। ৮ বছরের শিশুকে প্রহারের বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রসঙ্গত : শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে গত ১০ মার্চ বিকেলে আটক করে পুলিশ। তাকে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এর আগে, মাদরাসার শিক্ষার্থী ইয়াসিন ফরহাদকে প্রহারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। মারধরের ঘটনার পরে হাটহাজারী উপজেলার ইউএনও রূহুল আমিনের নেতৃত্বে গত ৯ মার্চ রাতে মাদরাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ওই থানার ইউএনও জানান, শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়াকে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা-মা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিতে চাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন ও আমার পক্ষ থেকে মামলার খরচ চালানোর কথা বললেও তারা তাতে রাজি হয়নি। এমনকি তারা একটি আবেদনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ারও অনুরোধ জানান।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার ইয়াসিনের মা-বাবা তার সঙ্গে দেখা করতে মাদরাসায় যায়। বিকেল ৫টার দিকে ফিরে আসার সময় ইয়ামিনও পেছন পেছন চলে আসে। এরপর শিক্ষক ইয়াহিয়া সেখান থেকে ইয়াসিনকে ধরে এনে প্রহার করতে থাকেন। মাদরাসার ভেতর নিয়েও তাকে প্রহার করেন। দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিলে ভাইরাল হয়। নিন্দার ঝড় ওঠে। হাফেজ ইয়াহিয়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।