পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তীব্র যানজটের কবলে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। প্রধান প্রধান সড়কে উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়িতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন। নগরজুড়ে অসহনীয় বিশৃঙ্খল অবস্থায় চরমে উঠেছে জনদুর্ভোগ। সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে গণপরিবহন, ভারী যানবাহন।
চট্টগ্রাম বন্দর, কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাট আর দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আছদগঞ্জকে ঘিরে তীব্র জট এখন নিত্যদিনের চিত্র। এতে পবিত্র মাহে রমজানের আগে সারা দেশে ভোগ্যপণ্য পরিবহন বিঘিœত হচ্ছে। বাড়ছে পরিবহন ভাড়া, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে। সড়কে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে গতি না আসলে সামনের দিনগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও নাজুক হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নগরীর প্রধান সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে আগ্রাবাদ বাদামতল পর্যন্ত চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। বহুল আলোচিত পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজ এখনও শেষ হয়নি। পতেঙ্গায় সিটি আউটার রিং রোডের কাজও চলছে সম্ভুক গতিতে। এই তিনটি সড়কের বেহাল দশার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে তীব্র যানজট। এর প্রভাবে নগরীর টোল রোড থেকে শুরু করে নগরীর বিরাট অংশে যানজট হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর এবং আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠা বিভিন্ন বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোমুখি ভারী যানবাহনের তীব্র জট প্রতিটি সড়কে।
মাঝির ঘাট সড়কে চলছে উন্নয়ন কাজ। ওই সড়ক হয়ে কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাট এবং আশপাশের গুদাম থেকে ভোগ্যপণ্য পরিবহন করা হয়। সড়কের বেহাল দশায় রাতে দিনে সেখানে তীব্র যানজট লেগেই আছে। এর প্রভাবে মাদারবাড়ি, মাঝির ঘাট, সদরঘাট থেকে শুরু করে কদমতলী, দেওয়ানহাট হয়ে টাইগারপাস সড়কেও যানজট বিস্তৃত হচ্ছে। নগরীর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জকে ঘিরে প্রতিটি সড়কে যানজট। বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কের সম্প্রসারণ কাজ চলছে। সেখানেও অসহনীয় যানজট। নগরীর চারটি প্রবেশ পথেই চরম বিশৃঙ্খলা। পাহাড়তলী সিটি গেইট-একে খান, অক্সিজেন, মুরাদপুর, কালুরঘাট এবং শাহ আমানত কর্ণফুলী সেতু এলাকায় রাতে-দিনে যানজট লেগেই আছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) শাহীনা সুলতানা বলেন, নগরীর প্রধান সড়কের ইপিজেড থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে তীব্র যানজট হচ্ছে। এর প্রভাবে আশপাশের সব সড়কে যানজট ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেড এবং পতেঙ্গার বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোমুখি ভারী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কাজ দ্রæত শেষ না হলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সমন্বয়হীনতার কারণেও যানজট তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি আগ্রাবাদ এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের খননের সময় চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল পাইপলাইন কাটা পড়ে। ওই লাইন মেরামত করতে টানা চারদিন সড়কের একাংশ বন্ধ রাখতে হয়। এতে আগ্রাবাদ থেকে বারিক বিল্ডিং হয়ে বিরাট এলাকায় রাতে দিনে যানজট দেখা গেছে। ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই সড়কের ম্যাপ সিডিএকে দেওয়া হয়েছে। আর খননের সময় ওয়াসাকে জানাতেও বলা হয়েছে। কিন্তু সিডিএ তা না করে কাজ করায় পাইপ লাইন কাটা পড়ে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এক সংস্থা রাস্তা কাটার পর আরেক সংস্থা রাস্তা কাটছে। এতে এসব সড়ক যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
নগরীতে গণপরিবহনের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। যত্রতত্র বাস, মিনিবাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠা নামা করা হচ্ছে। চলছে অবৈধ রিকশা আর ছোট যানবাহন। বন্দর এলাকার কয়েকটি সড়ক বাদে নগরীতে দিনের বেলায় ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সড়কে রাখা হচ্ছে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন। নগরীতে কেন্দ্রীয় কোন বাস টার্মিনাল নেই। সড়কের উপর টার্মিনাল গড়ে উঠেছে। সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে দিনে দিনে যানজট বড়ছে। তবে সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, নগরীর উত্তর প্রান্তের মুরাদপুর, শেরশাহ, অক্সিজেন, ষোলশহর এলাকায় কিছুটা যানজট থাকলেও অন্যান্য এলাকায় তা সহনীয় পর্যায়ে আছে। মুরাদপুর এবং বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের কারণে যানজট কিছুটা কমেছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।