দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
পবিত্র কোরআন ও হাদীস দারিদ্র্যকে দু’টি স্তরে বিন্যাস করেছে। একটির চরম দারিদ্র্য (ঐধৎফ ঈড়ৎব চড়াবৎঃু) যার মধ্যে পড়ে ‘ফকির ও মিসকিন।’ ‘ফকির’-শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যাদের জীবিকা নির্বাহের কোনো উপায় উপকরণ নেই, যারা সর্বোতোভাবেই নিঃস্ব, পথের ভিখারি তারাই ‘ফকির’। অন্য কথায় ‘ফকির’ বলতে চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বুঝায়, যাদের স্বাভাবিক চাহিদা তথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো পূরণার্থে পর্যাপ্ত পরিমান সম্পদ বা বৈধভাবে উপার্জনের সন্তোষজনক কোনো উপায় নেই।
‘মিসকিন’ হচ্ছে তারা, অভাব যাদের এখনো চরমে পৌছেনি, তবে আশুব্যবস্থা না হলে রাস্তায় দাঁড়াতে যাদের বিলম্ব হবে না। মিসকিনদের আত্মমর্যাদা ও কৌলিন্যবোধ তাদের রাস্তায় নামতে দেয় না, দেয় না কোথাও হাত পাততে। ইসলামের দৃষ্টিতে সাহেব-এ-নিসাব নয় এমন সব ব্যক্তিই ‘দরিদ্র’। ফকির, মিসকিন, ইসলাম স্বীকৃত ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন পূরণে অক্ষমগণই ‘দরিদ্র’। সহিহ মুসলিম শরীফের এক হাদীসে মহানবী (সাঃ) মিসকিনদের পরিচয় এভাবে দিয়েছেন ঃ ১. যার ধনী হওয়ার জো নেই, ২. দারিদ্র্য প্রকাশ পায় না বলে ভিক্ষা ও জোটেনি, ৩. হাত পেতে কারো কাছে চায় ও না।
এ হাদীসের শেষাংশে ইঙ্গিত করা হয়েছে সূরা আল-বাকারার আয়াতের বিষয়ের দিকে ঃ ১. তাদের আত্মমর্যাদার অবস্থা তো এই যে; অজ্ঞরা তাদের ধনী বলেই ভাবে। ২. আপনি শুধু (রাসূল সাঃ) তাদের চেহারা দেখেই ভেতরের অবস্থা আঁচ করে নিতে পারবেন। ৩. তারা কখনো কারো পেছনে লেগে কিছু চেয়ে ফিরে না। (সূরা আলঃবাকারা-আয়াত-২৭৩)
ইসলাম-দারিদ্র্যকে পছন্দ করেনি। আল কোরআনে ‘দারিদ্র্য কে নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে ‘দারিদ্র্য’ অন্তরকে কঠোর করে দেয়। (সূরাঃআনতাম-আয়াত-৪৩)।
আপামর জনসাধারণ যদি ঈমান আনত ও তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করত তাহলে আল্লাহতা’আলা আসমান ও জমিনের বরকতের দুয়ার খুলে দিতেন। (সূরা ঃ আ’রাফ, আয়াত-৯৬)।
দ্বিতীয় স্তরে সাধারণ দরিদ্র। ইসলামের বিধান মোতাবেক যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই অর্থাৎ যিনি যাকাত আদায় যোগ্য সম্পদের মালিক নন, তিনিই দরিদ্র। অন্য কথায় সাধারণ দরিদ্র হলো এমন অবস্থা, যেখানে মানুষের ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন পূরণ হয়ে সামান্য উদ্বৃত্ত থাকে, যা অবশ্য যাকাতের নিসাবের চেয়ে কম।
কোরআনের ভাষ্যানুযায়ী আল ফুকারাহ (দারিদ্র্য) ও আল-মাসাকিন (অভাবী) শ্রেণীর লোক তারাই যাদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ হয় না। তাদের নিসব পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী বা ধন সম্পদ তো দূরে থাক; প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, কাজের সামগ্রী, গবাদি পশু ইত্যাদির বড় অভাব। এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সকলেই যাকাত পাওয়ার যোগ্য বা দাবিদার। ইসলামী সাহিত্যে ‘আল-ফুকারাহ ও আল মাসাকিনের সঠিক অর্থ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কোন কোন ফকিহের মতে তারাই ফুকারাহ্ যারা দরিদ্র বটে, কিন্তু ভিক্ষা করে না, এবং আল-মাসাকিন তারাই যারা দরিদ্র এবং ভিক্ষা করে। অন্য একদল ফকিহ্ ঠিক এর বিপরীত মত পোষণ করে থাকেন অর্থাৎ আল ফুকারাহ তারাই যারা দরিদ্র ও ভিক্ষ করে এবং আলমাসাকিন তারাই যারা দরিদ্র কিন্তু ভিক্ষা করে না। যদিও পাথক্যের এই ভিন্নতার কারণে তাদের বাছাই করতে অসুবিধা হবার কথা নয়, তথাপি শেষের মতটিই নিচের হাদিসের আলোকে অধিকতর গ্রহণ যোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়।
অভাবী লোক সেই যে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে দুই একটা খেজুর বা কিছু খাবার চায় না বরং সে খুব বিব্রতবোধ করে অথবা সেই যার প্রয়োজন পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই এবং তার অবস্থা সম্বন্ধে অন্যরা অবগত ও নয়। (বুখারী-মুসলিম) বই; ইসলামী অর্থনীতি ড.এম.এ. হামীদ-পৃ-২২৭)।
যার অধিকারে স্বীয় অভাব মোচনের পরিমাণ অর্থ সম্পদ নেই তৎপরিমান অর্থ উপার্জনের ক্ষমতা ও তার নেই, এরূপ লোককে দরিদ্র বলা হয়। (বইঃ কিমিয়ায়ে সা’আদাত ইমাম গায্যালী ৪র্থ খন্ড)
অনেক ইসলামী বিদ্বিজন হাদীস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, ইসলাম ও দরিদ্র্য অবিচ্ছেদ্য। তারা যে হাদীসের উল্লেখ করেন সেটা হলো ঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, “হে আল্লাহ! আমাকে দরিদ্র্যের জীবন দান কর, দরিদ্র্যের মতোই মৃতুবরণ করতে দাও এবং কিয়ামতে দরিদ্র্যদের সাথে পুনরুজ্জীবিত কর।”
হযরত আয়েশা (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করেন, তিনি কেন এ রকম কথা বললেন। উত্তরে তিনি বলেন, “কারণ তারা ধনীদের চেয়ে চল্লিশ বছর পূর্বে বেহশ্তে প্রবেশ করবে। আয়েশা, তুমি যদি অর্ধেক খেজুর ও দিতে পারো তাহলে কোন গরিবকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না। তুমি যদি তাদের ভালোবাস এবং তোমার কাছে টেনে নাও আল্লাহ, কেয়ামতের দিন তোমাকে তার কাছে টেনে নেবেন।” (তিরমিজী) অন্য একটি প্রাসঙ্গিক হাদীস হলোঃ রাসূলে করীম (সঃ) দোয়া করতেন; “হে আল্লাহ! আমি দারিদ্র্য, অভাব ও লাঞ্জনা থেকে তোমার পানাহ চাই।” (বুখারী) যদি প্রথম হাদীসটির ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কে দ্বিতীয় হাদীসটির সঙ্গে সমন্বয করা যায় তাহলে দারিদ্র্য তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্ট ভাবেই ধরা পড়ে। ইসলাম দারিদ্র্যকে ঘৃণা করে; কিন্তু দরিদ্রকে ভালোবাসে। (ইসলামী অর্থনীতি-ড. হামিদ)
রাসূল (সাঃ) এক স্থানে বলেছেন-”দারিদ্র্য মানুষকে কুফরের পথে নিয়ে যায়।” দারিদ্র্য মোচন তাই ইসলামী অর্থনীতির এক প্রধান লক্ষ্য। রাসূল, আবার অন্যত্র বলেছেন - “দারিদ্র্য আমার গর্ব”। এখন চিন্তা করতে হবে একিরম কথা হল যা দুইটা বিপরীত মুখী। তাই হাদীস কোরআন হল জ্ঞান দিয়ে চিন্তার বিষয়। এখানে দারিদ্র্য আমার গর্ব বলতে স্বেচ্ছা গৃহীত দারিদ্র্য। আমাদের দেশের কোটি কোটি অর্ধভুক্ত-বিবস্ত্র বিত্তহীনদের উপায়হীন দারিদ্র নয়।
ইসলামে মানবীয় দারিদ্র্যের মধ্যে তার বস্তগত ও আধ্যাত্মিক দারিদ্র্য দুই-ই-অন্তভুক্ত। শেষোক্ত প্রেক্ষিত ইসলামে এ জন্যেই অন্তভুক্ত হয়েছে যে, বিত্তশালী হওয়া শুধু পার্থিব সম্পদের প্রাচুর্যের ওপরই নির্ভর করে না, বরং হৃদয়ের ঔদার্যের ওপরও তা নির্ভরশীল। (মুসলিম)
অন্য কথায়; কোনো ব্যক্তি অর্থ সম্পদে ধনী হতে পারে কিন্তু তার সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক অর্জন বিচার করলে দেখা যাবে সে দরিদ্রই রয়ে গেছে। ইসলামী অর্থনীতি মূলত বস্তুগত দারিদ্র্য নিয়ে আলোচনা করলে ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক প্রসঙ্গকে কখনো উপেক্ষা করে না। কারণ মূলত মানুষের জীবনটা আধ্যাত্মিক। কিছু দিনের জন্য এখানে আসা।
ইসলামী অর্থনীতির মূলসূত্রগুলো হচ্ছে ঃ
১. দুনিয়ার যাবতীয় সম্পদের মালিক আল্লাহ। আল্লাহর সম্পদে সকল মানুষের সমান অধিকার। মানুষ কোন কিছুর মালিক নয়, উত্তরাধিকারী মাত্র।
২. সম্পদের অধিকার তার যে শ্রমের দ্বারা সম্পদ উৎপন্ন ও ব্যবহার যোগ্য করে।
৩. আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ এক জাতি। সমাজে মানুষ মানুষের ভাই। এ ভিত্তিতে ধন সম্পদ বন্টিত হওয়া উচিত।
৪. সম্পদ অর্জন; জীবনের উদ্দেশ্য নয়, মহত্তর জীবন লাভের উপায় মাত্র। ধন-সম্পদ মানুষের পরীক্ষার জন্য। প্রকৃত সম্পদ নিহিত আত্মার উৎকর্ষতায়।
উপরের প্রথম সূত্রটিই ইসলামী অর্থনীতির মূল সূত্র। আজ আমরা ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির অন্তঃসার শূন্য বাস্তব প্রয়োগ দেখছি। কিন্তু দুঃখজনক হলো খুব কম সময়ের জন্য ছাড়া ইসলামী অর্থনীতির বাস্তব প্রয়োগ বা রূপায়ন হয় নাই। এর কারণ, রাসূল (সাঃ) তাঁর তেইশ (২৩) বছরের নবুয়তী জীবনে ব্যস্ত ছিলেন-ইসলাম প্রচার, ইসলামের জন্য যুদ্ধ, শরীয়ত এর প্রয়োগ ও এবাদতের মধ্যে। যদিও হযরত আবু বকর ও ওমর (রাঃ) এর সময় রাসূল (সাঃ) এর প্রবর্তিত অর্থ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। কিন্তু এরপর নতুন নতুন দেশ জয় ও নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভবে পরবর্তী খলিফারা ততটা দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা ও সাহস দেখাতে পারেন নাই। স্বজন প্রীতি ও রাজনৈতিক অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। গুপ্ত ঘাতক ও বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন-তিন খলিফা। রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বিরুদ্ধে সোর্চার হন একজন তিনি হলেন-হযরত আবু’যর গিফারী (রাঃ)।
সময় এসেছে, বিশ্ব মানবতার কল্যাণে ইসলামী অর্থনীতি তথা “মোহাম্মদী মতাদর্শ বা তন্ত্র” সম্পর্কে বর্তমান সময়ের আলোকে নতুন করে যুগউপযোগী চিন্তা ও গবেষণা করার। কারণ, ইসলাম ও মোহাম্মদ (সাঃ) কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, এটা সমগ্র মানব জাতির জন্য। এ জন্য দরকার বোধ শক্তি সম্পন্ন চিন্তশীলও জ্ঞানী মানুষ।” আলোকিত হৃদয়। মোহাম্মদী মতাদর্শ”-সমগ্র মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলো, অশান্তি থেকে শান্তি, বন্ধন থেকে মুক্তির দিকে আহবান করে। এ জন্যই ইসলামী অর্থনীতির প্রয়োজন, প্রয়োগও ব্যবহার বিশ্বজনীন, আর তা হতে হবে-সুগোপযোগী। কারণ, ইসলাম সর্বযুগের ধর্ম-শেষ ধর্ম-আর মোহাম্মদ (সাঃ) হলেন-শেষ নবী এবং সর্বযুগের নেতা ও বিশ্বনবী।
রাসূল (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেবার পর রাসূলের যে প্রিয়তম ও বিপ্লবী সাহাবী ইসলাম তথা রাসূল (সাঃ) এর প্রকৃত অর্থনৈতিক মতাদর্শ প্রচারে সোচ্চার হন এবং এর জন্য জীবনে বহু অপমান ও দুঃখ কষ্ট সহ্য করেন তিনি হলেন ব্যতিক্রমধর্মী সাহাবী হযরত আবু’যর গিফারী (রাঃ)। রাসূল (সাঃ) তাঁর জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার সে দিকটা সাধারণ ভাবে অনুসরণ করে গেছেন তা হ’ল ‘মিযাজেশারীয়ত বা আযীমত। এটাই পরম লক্ষ্য স্থল।
ইসলাম মূলতঃ এই চেতনাটিকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। যাকে ইসলামী পারিভাষায় ‘নেজামে আফও’ বলে অভিহত করা হয়।
আবু’যর গিফারী (রাঃ) ছিলেন সারাটা জীবন মিযাজে শরীয়ত বা আযীমত এর অনুসারী।
এরপর আসে তিউনিসিয়ার বিশ্ব বিখ্যাত আরব মনিষী ইব্নে খালদুন। তিনি অর্থনীতির সাথে মানব কল্যাণ এর সম্পর্ক গভীর ভাবে উপলব্দি করেছেন। অর্থনীতিকে তিনি দেখেছেন যুক্তি ও নীতি শাস্ত্রের সংমিশ্রণ হিসাবে। এতে তিনি একই সাথে অর্থনীতিকে একটা প্রত্যক্ষ (Positive) ও ন্যায়ানুগ (Narmative) শাস্ত্র রূপে চিহ্নিত করেছেন। তিনি তার প্রসিদ্ধ আলমোকাদ্দিমাহ গ্রন্থে অর্থনীতিকে জনসাধারণের (আলজুমদুর) সাথে সম্পকির্ত করেছেন। ফলে তার সংজ্ঞানুযায়ী ব্যক্তিগত নয়, বরং সামাজিক কল্যাণই হচ্ছে অর্থনীতির উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু।
আজ বিশ্ব মুসলমানের এ দুঃখজনক সময়ে, সময় এসেছে ইসলামী অর্থনীতি তথা মোহাম্মদী অর্থনীতি সম্পর্কে আজ বর্তমান সময়ের আলোকে নতুন করে নতুন পথে চিন্তা ভাবনা করার। রাসূল (সাঃ) তৎকালীন সময়ে কিছু বিষয়ের বীজ বপন করে যান, কিন্তু সময় না হওয়ায় তা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়াস চালান নাই, উদ্দ্যোগী হন নাই। কারণ তাঁর সংগ্রামমুখী স্বল্পকালীন ব্যস্তজীবন ইসলাম ও নব মুসলমানদের জীবনে এটার চূড়ান্ত প্রয়োগ সম্ভব ছিল না। তিনি ব্যস্ত থাকতেন, যুদ্ধ, নব মুসলমানদের শিক্ষাদান, ইসলাম প্রচার এবং এবাদতে। এর মাঝেও তিনি হযরত আবুযরকে ব্যতিক্রম ধর্মী আদর্শে গড়ে তুলেন।
কুরআন ও হাদীস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইসলামী বিধি বিধানের প্রতিটি ক্ষেত্রে দু’টি স্তর বিদ্যমান। একটি প্রাথমিক বা প্রান্তিক স্তর অপরটি পরম লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার স্তর। যেমন তওহীদ ও রেসালতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলে। একজন লোক মুমিন বলে গণ্য হতে পারে, কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এই শেষ কথা নয় বরং তাকে আরো উন্নতি করতে হবে এবং বিশ্ব জাহানের সকল কিছুতেই তওহীদ প্রত্যক্ষ করার স্তরে যেয়ে তাকে হতে হবে উপনীত। (চলবে)
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত হিসাব কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।