পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতের পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারে আরোচনায় নতুন করে যোগকরা হয়েছে রহিমপুর খাল। তবে তিস্তা ও অন্য ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, অববাহিকা-ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে।
বাংলাদেশের পক্ষের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কবির বিন আনোয়ার ও পঙ্কজ কুমারের মধ্যে আগামী মঙ্গলবার ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে। এই মাসের শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের আগে এই বৈঠকে কিছু বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করবে দুই দেশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে বলেন, ২০১১ সালে পানি সম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের শেষ বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সই এর বিষয়ে একমত হয় দুই দেশ কিন্তু এখন পর্যন্ত ভারত চুক্তিটি সম্পন্ন করতে পারেনি। আমরা এটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাদেরকে আবারো দাবি জানাবো। মনু, ধরলা, গোমতি, খোয়াই, দুধকুমার ও মুহুরি নদীর পানি বন্টনের জন্য আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে দুই দেশের কারিগরি পর্যায়ে আরও তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খসড়া চুক্তি বিনিময় হবে।
সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি পাঁচ হাজার একর জমির সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য রহিমপুর খাল খনন কাজে আপত্তি করছে ভারত। এই বিষয়ে জানুয়ারি মাসের কারিগরি বৈঠকে দুপক্ষ দ্রæত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে একমত হলেও ভারত এখন পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি। ছোট এই খালটি খনন না করতে পারার কারণে পাঁচ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবারও তাগাদা দিবো। মহানন্দা নদীর পানি একতরফাভাবে ভারত প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের দিকের মহানন্দায় পানি প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায় সরকার। প্রতিটি নদীর একটি নিজস্ব জীবন আছে বলে দুই দেশের সরকার স্বীকার করে এবং প্রতিটি নদীকে বাঁচানোর জন্য অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দুই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা করতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা সব বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি কিন্তু পানি বাদে অন্য সব বিষয়গুলোতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আশা করবো নরেন্দ্র মোদির সফরকে রাজনৈতিকভাবে সফল করার জন্য দিল্লী পদক্ষেপ নিবে। ২০১৯ এর আগস্টে দুই সচিবের মধ্যে শেষ বৈঠক হয়েছে। গত ১০ বছরে দুই দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। যা আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা চাই দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।