Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে মেগানের যত অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২১, ১০:৪৭ এএম

রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন সাধারণ জীবনযাপন করেছেন একদা ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কল। এবার রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে একঝাঁক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মেগান। সোমবার সকালে সিবিএস চ্যানেলে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় মার্কিন সঞ্চালক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একের পর এক বোমা ফাটান মেগান।

কেন হ্যারি ও মেগানের সন্তানকে প্রিন্স খেতাব দেওয়া হয়নি এই ইন্টারভিউ সেকথাও জানালেন মেগান। এদিন রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষ্যমের অভিযোগ তুলে মেগান বলেন- ‘তারা চায়নি ও প্রিন্স বা প্রিন্সেস হোক, সে মেয়ে না ছেলে হবে তা না জেনেই। রীতি অনুযায়ী আমাদের সন্তান প্রিন্স বা প্রিন্সেস না হওয়ায় ভবিষ্যতে সে নিরাপত্তাও পাবে না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল’

উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার মেয়ের মেগান। মেগান মার্কল কৃষ্ণাঙ্গ বংশোদ্ভূত হওয়ার জেরেই এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাজ পরিবার। তবে কে বা কারা গায়ের রঙ নিয়ে এই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছিল, তা প্রকাশ করেননি মেগান। তবে সরাসরি তাকে নয়, হ্যারির মাধ্যমে এই কথাগুলো তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

‘দ্য ডাচেস অফ সাকসেস’ বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসহায়তাবোধ এবং হতাশা ক্রমেই গ্রাস করেছিল তাকে, সেইসময় আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল তার। বারবার সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন মেগান মার্কেল।

২০১৮ সালের জুন মাসে প্রিন্সেস ডায়না ও প্রিন্স চার্লসের ছোট ছেলে ডিউক অফ সাক্সেস হ্যারিকে বিয়ে করেন মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেল। বিয়ের আগে বা পরবর্তী সময়ে রাজকীয় আদব-কায়দা শেখাতে বার্কিমহাম প্যালেসের কেউ উদ্যোগী হয়নি তাকে, জানান মেগান। বড় জা কেট মিডলটনের আনা অভিযোগ উড়িয়ে মেগান বলেন, বিয়ের আগে কেট কাঁদিয়ে ছেড়েছিল তাকে, তিনি কোনওদিন দুর্ব্যবহার করেননি প্রিন্স উইলিয়ামের পত্নীর সঙ্গে।

শীঘ্রই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন মেগান। তাদের দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে, সে কথাও এই অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন মেগান-হ্যারি। রাজপরিবারের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে এই দম্পতির। বিস্ফোরক এই সাক্ষাৎকারের পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ