পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার থেকে সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ পাস ইস্যু শুরু করা হবে। ওইদিন থেকে পাস নিয়ে দর্শনার্থীরা আগের মতো সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
সচিবালয়ের নিরাপত্তার ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাজিব দাস ইনকিলাবকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সচিবালয়ে দর্শনার্থী পাস দেয়া বন্ধ ছিল। আগামী বুধবার থেকে সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ পাস ইস্যু শুরু করা হবে। তবে আগের মতো হবে না। কারণ এখনো করোনা আছে। সেটি বিবেচনা করে সব মন্ত্রণালয় পাস ইস্যু করবে।
গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের সচিব ও সিনিয়র সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব অনেকটা শিথিল হয়েছে এবং সচিবালয়ে কর্মরত প্রায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করছেন। আগামী ১৭ মার্চ (যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলবে ১৭ মে) থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩১ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত ১৫-২০ দিনের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দুটোই নিম্নমুখী বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। চিঠিতে বলা হয়, এমতাবস্থায় সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে আগামী ১০ মার্চ থেকে সচিবালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবদের জন্য দৈনিক তিনটি এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীর একান্ত সচিবদের (পিএস) জন্য দৈনিক ১০টি এবং সিনিয়র সচিব/সচিবদের একান্ত সচিবদের জন্য দৈনিক ৫টি করে দর্শনার্থী প্রবেশ পাস ইস্যু করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। একান্ত প্রয়োজন না হলে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে পাস ইস্যু করার পরামর্শ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে গত বছর ১৯ মার্চ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়, দর্শনার্থী পাস ইস্যু বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, গত বছর ২৫ মার্চের পর গত ৩১ মে রবিবার খুলেছে সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর বাংলাদেশ সচিবালয়। ২৬ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সারা দেশের সরকারি বেসরকারি সব ধরনের অফিস কার্যক্রম বন্ধ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। শুরুতে কয়েক দিনের জন্য হলেও পরবর্তীতে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে তা সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ৩১ মে থেকে সরকারি বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি দেয় সরকার। এরই মাঝে অতিবাহিত হয়েছে ৬৬ দিন। এই ৬৬ দিনের মধ্যে গেছে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ, পবিত্র শবে বরাত, শবে কদর ও মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ৩১ মে অফিস আদালত খোলার পরেও কেটে গেছে প্রায় দুই মাস। এতদিনেও সচিবালয় ফিরে পায়নি তার চিরচেনা রূপ। এখনও প্রাণহীন মনে হয় পুরো সচিবালয়কে। সকালের দিকে কিছু মানুষের আনাগোনা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানেও নেমে আসে এক ধরনের নিস্তব্ধতা। বেশিরভাগ মন্ত্রীও এখন অফিসিয়াল কাজকর্ম বা মিটিং সেরে নেন অনলাইনে। অনেক মন্ত্রী- সচিব স্বাক্ষাত দিতেন না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সাধারণ ছুটি ৩১ মে’র পরে না বাড়ানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসে আসবেন। এর জন্য পৃথক শিডিউল করবেন সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থাগুলো। যাদের কাজ আগে শেষ হবে, তারা অফিসে বিলম্ব করবেন না, বাড়িতে চলে যাবেন। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে পুরোপুরি বিরত থাকবেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য সর্বাবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক চলছে সরকারি সংস্থা, দফতর ও অফিস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।