Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেহেদিগঞ্জের আলিমাবাদে লাগাতার চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২১, ২:০৪ পিএম

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নে ব্যাপক হারে চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসি। প্রতিরাতেই এলাকার একাধিক বাড়ি-ঘরে চুরির ঘটনা ঘটনায় সাধারাণ মানুষের পাশাপাশি নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী। বিগত বছরাধিককাল ধরে লাগাতর চুরির কোন প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয় আইনÑশৃংখলা বাহিনীর ভুমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে চুরি হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক ওরফে সেলিম পন্ডিতের বাড়িতে। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খোয়া গেছে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তিনি আরও জানান, তার বাড়িতে এটাই প্রথম চুরির ঘটনা নয়। কিছু দিন আগেও তার বাড়িতে চুরি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বার ও ভুক্তভোগীর প্রতিবেশি সবুজ হাওলাদার বলেন, ‘শুক্রবার রাত পৌনে ৪টার দিকে ডাক-চিৎকার শুনে সেখান গিয়ে দেখলাম নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়েছে।’

শুধু এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি নয়, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, মুুক্তিযোদ্ধা বারেক ফকির, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার বুলু, মাস্টার মো. শাজাহান, অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আলী হাওলাদার, প্রফেসর মাসুদুর রহমান, মাস্টার জহিরুল ইসলাম, মাস্টার মো. গিয়াস উদ্দিন, মাস্টার হোসেন মৃধা, মাস্টার হাসান ব্যাপারী, ডা. ফখরুদ্দিন, সোবাহান ঘরামী, ব্যবসায়ী ফয়সাল মোল্লা, ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান ভুইয়াসহ অনেকের বাড়িতেই ইতোমধ্যে চুরি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

তারা জানান, গত এক বছর ধরে প্রায় প্রতি রাতেই কোন না কোন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানকে জানানো হলোও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।

এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। ফলে এসব অপকর্ম করেও অপরাধীরা ধরা পরছে না বা কোন ধরনের প্রতিকারও হচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থদের। ভয়-আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন তারা।

এলাকায় চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করে আলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় মাঝে মধ্যে চুরি হচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের দমনের চেষ্টা করছি।’ তিনি জানান, আলিমাবাদ ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত ও দুই জেলার সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল। তাই অনেক সময় হয়তো বহিরাগতরা এই অপরাধের সংগঠিত করে অন্য জেলোয় চলে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, তার কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসে নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ