Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পবিপ্রবি ও পায়রা সেতু কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় ভেঙে ফেলা হয়েছে স্মারক যুদ্ধবিমান

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম
পটুয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও চলমান লেবুখালী(পায়রা) সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনায় কুয়াকাটা - ঢাকা মহাসড়কের পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাট সংলগ্ন পাগলার মোড়ে  পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক চিহ্ন কাজে ব্যবহৃত ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে প্রতিস্থাপিত  পুরানো যুদ্ধবিমানটি ভেঙে ফেলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। 
শনিবার(৬ মার্চ) দুপুরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য স্মারক যুদ্ধবিমান সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়।
লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম জানান, লেবুখালি নদীতে নির্মানাধীন পায়রা সেতু পটুয়াখালী প্রান্তের এপ্রোচ সড়কের নির্মাণের জন্যবিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোয়ারে প্রতিস্থাপিত স্মারক যুদ্ধবিমানটি
সড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অক্টোবর মাস থেকে একাধিক চিঠি দেওয়া সহ,পটুয়াখালী সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির সাথে দেখা করেছেন ।আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসির সাথে ৩ বার কথা বলেছি,কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সড়কের নির্মাণ করতে যেয়ে ঠিকাদারি কাজের নিয়োজীত লোকজন বিমানটি সরাতে গিয়ে হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পায়রা সেতু কর্তৃপক্ষের ডিপিএম কামরুল জানান,এফ-৬ বিমানটি সড়াতে গিয়ে চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেনি।
এদিকে স্থাপনাটিতে থাকা স্মারক যুদ্ধবিমানটি ভেঙে নষ্ট করে ফেলায়  ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন  বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ।  ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ চলছে। শিক্ষার্থীরা জানান, নির্দেশক স্তম্ভটিতে থাকা স্মারক যুদ্ধবিমানটি ভেঙ্গে না ফেলে যদি সুরক্ষিত অবস্থায় অপসারণ করা হতো তাহলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে পুনঃরায় ব্যবহার করা যেত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সেতু কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি ও অব্যবস্থাপনার কারণে পুরানো যুদ্ধবিমানটিকে ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে যেটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এদিকে এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও লেবুখালী সেতু নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ। 
পবিপ্রবি'র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড.স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়ারে প্রতীস্থাপিত যুদ্ধবিমানটি সরানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। স্থাপনাটি অপসারনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সক্ষমতা না থাকায় আমরা এ বিষয়ে বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু তাতে কোন অগ্রগতি হয়নি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই হঠাৎ করে নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলায় তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি আরো জানান,আমরা ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি এবং মিটিং করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,২০০৪ সালে  পুরানো ঐ বিমানটি লেবুখালীর পাগলার মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক চিহ্ন নির্দেশনা চিহ্নিত করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়ার নামে অভিহিত করা হয়।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ