Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটিয়ায় রাসায়নিক বর্জ্যে খাল দূষণ

৭০০ একর জমির বোরো চাষ ব্যাহত

এস. কে. এম. নূর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

পটিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গলখাইন ও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে সার্জেন্ট মহি আলম খালে ফুলকলি মিষ্টি কারখানার রসায়নিক বর্জ্যে খাল দূষণ এবং পানির দুর্গন্ধে এলাকায় চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। খালের বিষাক্ত পানিতে উভয় পাশে ইরি-বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা লাখ লাখ টাকার চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও খালের পাশে থাকা স্কুুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দুর্গন্ধে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার এ খালে মরে যাচ্ছে মাছ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ফুলকলি’র কারখানা কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করে এবং তখনকার সময়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করে পানি দুষণমুক্ত করার কথা থাকলেও তা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় খালের পানির দূষণ ও দুর্গন্ধ কমেনি। পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সার্জেন্ট মহি আলম খালে চলতি বোরো মৌসুমে বোরো চাষ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানান। এ খালের আশপাশে প্রায় ৭শ’ একর জমিতে একসময় চাষাবাদ হলেও এখন পানির অভাবে তা হচ্ছে না। অভিযোগ ওঠেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে বিভিন্ন জায়গায় খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে পাম্প মেশিনের মাধ্যমে পানি ওঠছে না। বিষয়টি জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে এলাকার কৃষকগণ অবহিত করেছেন। খাল থেকে আবর্জনা পরিস্কার করে চাষাবাদের জন্য পানির ব্যবস্থা করার জন্য প্রান্তিক কৃষকরা দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে ফুলকলি ও মেটকো কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ইটিপি দ্বারা পরিশোধন না করে মহি আলম খালে ফেলার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নামে মাত্র ইটিপি করলেও ব্যবহার করেনা। গুরুত্বপূর্ণ এ খালে একসময় ১৫টির অধিক পাম্প মেশিনের মাধ্যমে পানি তুলে চাষাবাদ করা হতো। খাল ভরাট ও ময়লা-আবর্জনার কারণে বর্তমান ৭/৮টি মেশিন চলছে। খালে অতিরিক্ত পলিথিনসহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলার কারণে পাম্প মেশিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
জঙ্গলখাইন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মো. ইদ্রিস বলেন, সার্জেন্ট মহি আলম খালে বর্জ্য ফেলার কারণে খালের পানি বিষাক্ত হচ্ছে। যার কারণে পানির স্কীম ঠিকভাবে চালাতে পারছে না। জরুরি ভিত্তিতে খালের দূষণমুক্তসহ খাল খনন করা প্রয়োজন।
পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানিয়েছেন, কারখানার বর্জ্য সম্পর্কে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্জ্য ফেলা বন্ধ ও খাল খনন না হলে চাষিরা চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ