Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন বাড়ছে। প্রতি মুহূর্তেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলী মাঠ এবং অসহায় মানুষের শেষ সম্বল। ভাঙনের হাত থেকে সলেমানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো। ইতোমধ্যেই পদ্মার গর্ভে চলে গেছে সবচেয়ে পুরানো আশ্রয়ণ প্রকল্প, মসজিদ, বসতবাড়ি ও শতশত একর ফসলী জমি। ভাঙনের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বাহিরচর, মোকারিমপুর, বাহাদুরপুর ও জুনিয়াদহ এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি ভারতের ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ফলে ভাটির বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে আকষ্মিক পানি বৃদ্ধি পায়। প্রতি মুহূর্তেই দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী একের পর এক গ্রাস করছে জনপদ। বাপদাদার ভিটেমাটিও বিলীন হয়ে যাচ্ছে পদ্মার গর্ভে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সর্বোচ্চ পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভূর্গস্থ থেকে ১৪ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। যা বিপদ সীমার মাত্র শূন্য দশমিক ১০ মিটার নীচে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় ভাটির বাংলাদেশ। পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন বাড়ছে। ভেড়ামারার মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ’র সাবেক মেম্বার বাবুল হোসেন জানান, পদ্মা নদীর পানি সামান্য কমেছে। তবে পদ্মায় এখন তীব্র অব্যাহত রয়েছে তীব্র স্রোত। পদ্মা নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা শতবর্ষী বিশাল চর এ বছর পদ্মার গর্ভে আবারও বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। এখনও সীমিত অংশ জেগে আছে। এ চরেই গড়ে তোলা হয়েছিল ২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প, ১টি সলেমানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসতবাড়ি এবং মসজিদ। সব কিছুই এখন পদ্মার গর্ভে। ভেড়ামারা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সলেমানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টি পদ্মার গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা থাকায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ভেঙে সরিয়ে আনা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ৮টি রুমের মধ্যে নতুন বিল্ডিংয়ে ৪টি রুম ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোও সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। তিনি জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভেড়ামারার সলেমানশাহ মাজার শরিফের ২টি কক্ষে আবারও পাঠদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ