পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি গহীন অরণ্যে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযান চালিয়ে ট্যাংক বিধ্বংসী ১৮টি রকেট গোলা উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার সকালে বিজিবি-৫৫ কোম্পানী কমান্ডার লে. কর্ণেল সামিউন্নবী চৌধুরী ঘটনাস্থলে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৫৫ বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার লে. কর্ণেল সামিউন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সাতছড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গহীন জঙ্গলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি গর্তে পলিথিনে মোড়ানো রকেট লঞ্চারের ১৮টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেসব্রিফিং এ জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ৭-৮টি গাড়িতে করে বিজিবি’র একটি দল গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবস্থান নেয়। তারা সন্ধ্যার পর উদ্যানের প্রধান সড়ক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ভেতরে গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, মঙ্গলবার বিজিবির একটি টিম গহীন অরণ্যে খোঁড়াখুঁড়ি কাজ করছে। তবে কি কারণে তারা খোঁড়াখুঁড়ি করছে তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে তারা কোন উত্তর দেয়নি। কি বিষয়ে অভিযান করছে তা কাউকে জানায়নি। অভিযান স্থলেও কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
এরপর আবারো ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০গুলির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সপ্লোসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ৬ষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিষ্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।