Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। গত দু’দিন ধরে গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশবোঝাই ট্রলারগুলো আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরের আড়তগুলোতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। কাক্সিক্ষত রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলে, আড়তদার ও মৎস্যজীবীদের মাঝে। স্থানীয় মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ীরা ইলিশ সংগ্রহ করে পিকআপ ও ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ায় উপকূলীয় জেলে পল্লী ও আড়তগুলোতে আনন্দের জোয়ার বইছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি ট্রলার ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করেছে। বর্তমানে স্থানীয় আড়তগুলোতে গ্রেড অনুযায়ী প্রতিমণ ইলিশ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গভীর সমুদ্রে জেলেদের সাইনজালসহ অগভীর জলে খুটা জালেও পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে। চট্টগ্রামের এফ বি টিপু-২ নামের একটি ট্রলার ১০৫ মণ ইলিশ মাছ বিক্রি করেছে। এছাড়া একই মালিকের এফ বি টিপু-৩ ১৫৮ মণ ইলিশ মাছ নিয়ে তীরে আসে। তারা মহিপুর মৎস্য আড়তে প্রতিমণ ২২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছে। গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে আসা প্রতিটি ট্রলার অনেক পরিমাণে মাছ নিয়ে এসেছে। অগভীর সমুদ্রেও খুটা জালে বড় সাইজের অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে। মৎস্য অধিদফতরের কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের আড়তগুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের একদ- বিরাম নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য সারি সারি পিকআপ ও ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া দূরদূরান্তের পরিবহনের ছাদেও ককসিট বোঝাই করে ইলিশ বহন করতে দেখা গেছে।
কুয়াকাটার ঝুমা ফিসের মালিক সোবাহান মৃধা বলেন, কিছুদিন ধরে খুটা জালে বেশ মাছ পড়ছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফিরে আসা ট্রলারগুলো সাগরে যেতে পারছে না।
মহিপুরের শাহজালাল ফিসের মালিক নাহিদ আকন বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জেলেদের জালে কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা পড়ছে। তার আড়তে শুক্রবার সকালে প্রচুর মাছ বেচাকেনা হয়েছে। এভাবে মাছ ধরা পড়লে জেলেরা লাভের মুখ দেখবে বলে তিনি জানান।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাস জানান, সন্তোষজনক মাছ পড়ছে। এভাবে মাছ ধরা পড়লে দায়দেনা মুক্ত হবে মৎস্যজীবীরা। তবে ইলিশের দাম কিছুটা কমে গেলেও জেলেরা খুশি। গভীর সাগর থেকে প্রতিটি ট্রলার কম বেশি মাছ নিয়ে ঘাটে আসছে। এ কারণে মৎস্যবন্দর প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, গভীর ও অগভীর সমুদ্রে অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে। মৎস্য অধিদফতরের কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় (প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের ভিজিএফ/পুনর্বাসন) বিশেষ করে নৌবাহিনী, কোস্টকার্ড, পুলিশ, প্রশাসন ও জনগণের সহযোগিতায় দেশে ব্যাপকহারে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।



 

Show all comments
  • MD Al Mamun Shohag ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৫৪ এএম says : 0
    ঝাকে ঝাকে হলে কি হবে?? দাম তো ৭০০/৮০০ টাকা
    Total Reply(0) Reply
  • Bhuiyan Faroque ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৫৫ এএম says : 0
    Valo to
    Total Reply(0) Reply
  • Uzair Ahmed Chowdhury ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৪:২৩ পিএম says : 0
    Sea ,Ocean what ever you say all are the gift of creature,Bangaldesh is my mother land although I am living near to sea land,London.My advise is that sea water and weather and sea beach preserve and protect it from the oppression of other nation and pollution.Happy news that lot of Hilisha Fishes has bee caught up by Bangladeshi fisherman,these are the resource of Bangladeshi 17 core population.And it very important to supply Hilisah fish to the every division of Bangladesh and give a minimum value so that people can buy easily and can eat a lot and can express the gratefulness of almighty Allah.Safe the resources of Bangladesh in Bangladesh areas.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ