Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাগড়াছড়িতে স্ট্রবেরি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা

মো. ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

খাগড়াছড়িতে স্ট্রবেরি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও বাজারজাতের সমস্যার কারণে চাষে প্রসার পাচ্ছে ধীরগতিতে। ফলটির মূল্যহার উচ্চ এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের অপরিচিত হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা খুবই কম।
জানা যায়, এ ফলটির বাজার ব্যবস্থার সমস্যার কারণে চাষে তেমন আগ্রহও নেই অনেকের।
সরকারিভাবে বাজারজাতের ব্যবস্থা করা হলে স্ট্রবেরি চাষে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপক উৎসাহ পাবে এবং খাগড়াছড়ি জেলাও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে মনে করেন খাগড়াছড়ির প্রথম স্ট্রবেরি চাষি পরেশ চাকমা
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সেলিম জানান, গত ৩ বছর ধরে স্ট্রবেরি চাষ করছেন জেলার মহালছড়ি উপজেলার করইল্যাছড়ি গ্রামের পরেশ চাকমা। অনেকটা সখের বশেই স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। সখের বশে করতে করতে এ চাষে নেশাগ্রস্ত হয়ে এখন শিক্ষকতার পাশাপাশি স্ট্রবেরি চাষকে পেশা হিসেবেই গ্রহণ করেছেন বলে জানালেন লেমুছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এ সহকারী প্রধান শিক্ষক
অনেক স্বচ্ছল। গত বছর ৭৫ শতক জমি থেকে প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার কেজি উৎপাদন করেছিলেন। প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হতো। ক্রেতা হিসেবে শুধু সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা ও শিক্ষিত লোকজন ছিল। তবে বর্তমানে সাধারণ ক্রেতারাও স্ট্রবেরি কিনতে খামারে যাচ্ছে বলে জানান, পরেশ চাকমা স্ত্রী মুনমুন খীসা। ৭৫ শতক জমিতে চাষ করতে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় আর আয় হয়েছিল প্রায় ১৫ লাখ টাকার মতো। চলতি মৌসুমে বিমলের জমিতে দুই জাতের স্ট্রবেরি অ্যামেরিকান ফ্যাস্টিবল ও জাপানি রাবি-থ্রি পাওয়া যায়।
ব্র্যাকের আয়োজনে ২০১৬ সালে কুমিল্লায় শিক্ষকতা পেশার বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে স্ট্রবেরি চাষের ওপর একটি লিফলেট বিলি করা হয় তাদের। লিফলেটটি যত্ম করে রেখে দেন। পরে ২০১৭ সালে কক্সবাজারের চকোরিয়া থেকে চারা সংগ্রহ করে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। এবার চতুর্থবারের মতো স্ট্রবেরি চাষ করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজেই চারা সরবরাহ করছে। তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে বিভিন্ন উপজেলার কয়েকজন কৃষকসহ অনেকেই দুই বছর ধরে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেছেন বলে জানান বিমল ব্রত চাকমা।
পাশের গ্রামের থৈলাচাই মারমা, তার এক চাচাতো ভাই ছোটন চাকমা, পানছড়ি উপজেলার জ্যোতিপাল চাকমা, দীঘিনালা বাবুছড়ার এক কৃষকসহ এক ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা, মহালছড়ি জোন, মাটিরাঙা জোনের লোকজন চারা সংগ্রহ করে চাষ করছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ