রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চুর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, নলছিটি উপজেলা আ.লীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চুকে। এর আগে ওই পদে ছিলেন গোলাম মোস্তফা ফিরোজ।
দলীয় কোন্দল সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগে তাকে আর দলীয় পদ দেয়া হয়নি। এ কারণে তিনি এইচএম আখতারুজ্জামানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। সেই থেকে বাচ্চুর বিরুদ্ধে গোলাম মোস্তফা ফিরোজ নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ফিরোজের নিজের আইডি ও ফেইক আইডি তৈরি করে ফেসবুকে বাচ্চুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে বাচ্চুর সম্মানহানী হচ্ছে জানিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠির যুবলীগ নেতা কাওসার হোসেন মায়েজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল খালেক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন মিন্টু মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নুসরাত জাহান বেবী ও ছাত্রলীগ সভাপতি শামীম রেজাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম মোস্তফা ফিরোজ বলেন, আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এ ধরনের কোন লেখা আমি লিখিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।