রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আজ রোববার ফরিদপুর সদর থানার গেরদা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। এ নির্বাচনে ইউনিয়নের গেরদার বোকাইলের মোড়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা নায়াব ইউসুফের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক মারমুখী হয়ে ওঠে বলে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ এ অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে গেরদার আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. আরিফ হোসেনের সমর্থনে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা শেষে সন্ধার পর নায়াব ইউসুফ বুকাইলের মোড় এলাকায় গণসংযোগে নামেন। এসময় জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আকস্মিকভাবে তার গাড়িতে হামলা করা হয়।
এসময় নায়াব ইউসুফের সাথে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ মিয়া, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক নেতা এমএম ইউসুফ, রুকসুর সাবেক ভিপি মো. সেলিম মিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে নায়াব ইউসুফ বলেন, হামলাকারীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তার গাড়িতে আঘাত করতে থাকে। এতে সেখানে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তার গাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অপরাধ যেই করুক কারো প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হবে না। নির্বাচনে যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।