বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাগুরায় সালমা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । শনিবার সকালে জগদল রুপাটী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। নিহত সালমা (১৯) আমুড়িয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী ইয়ানুর হোসেনের মেয়ে।
নিহত সালমার ফুফু জোসনা বেগম অভিযোগ করে জানান, মাত্র পাঁচ মাস আগে জগদল রূপাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে রাজুর (২২)সাথে সালমার বিয়ে দেন তারা। বিয়ের পর থেকে সালমাকে বাপের বাড়ি আসতে দিতে চাইত না শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এ অবস্থায় শনিবার সকাল ৮ টায় সালমার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোনে সালমা কারেন্টে শর্ট করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানানো হয়। এ খবর শুনে তার শ্বশুরবাড়ি জগদল রুপাটি গ্রামে গেলে সালমাকে ঘরের মেঝেতে গলায় ওড়না পেঁচানো মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান তারা। রুপাটি গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী মোহন মোল্ল্যাসহ অন্যরা জানান সালমা স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এ সময় তার স্বামী, শ্বশুরসহ বাড়ির লোকেদের খুজে পাননি তারা।
নিহত সালমার দাদা পিকুল জানান, সকাল ৮ টায় খবর পেয়ে সাড়ে ৮টার দিকে সালমার শ্বশুর বাড়ি পৌছান তারা। প্রথমে ফোনে তাদেরকে সালমা কারেন্টে শর্ট খেয়ে অসুস্থ বলে জানানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো সালমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তারা। সেই সাথে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মরদেহ ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সন্দেহ যে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গলায় ওড়না পেচিয়ে সালমাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ করেছেন তারা। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর এটি হত্যা নাকি আত্বহত্যা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।