পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অবস্থা ‘বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর’ মতোই। মশা মারতে পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা, অভিযানের নামে ক্যামেরা পোজ, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ইত্যাদি ‘মশা মারতে কামান দাগানো’ মহাকর্মযজ্ঞ মিডিয়ার বদৌলতে জানতে পারছে মহানগরবাসী। কিন্তু মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। শীত বিদায়ের পর ফাল্গুনে গরমে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দুই সিটির প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। এমনকি ‘ঢাকায় মশার উপদ্রব’ খবর আন্তজাতিক পর্যায়ে চলে গেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে গত ২১ জানুয়ারি ডিএনসিসি ও বেবিচক মিলে বিশেষ কমিটি গঠন করতে হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক মাসে মশার ঘনত্ব বেড়েছে চারগুন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে। বৈশ্বিক এই মহামারিতে যখন ত্রাহি অবস্থা তখন বাংলাদেশে এই করোনাভাইরাসের সাথে যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। শীত মৌসুম বিদায় নিতে না নিতেই রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে বেড়েছে মশার উপদ্রব। বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, হাট-বাজার, বাস-ট্রেনসহ সর্বত্রই মশার যন্ত্রণা। বর্ষার আগেই মশা বেড়ে যাওয়ায় নগরবাসীকে তাড়া করছে গত ডেঙ্গু ভয়।
নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইন করে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের টেবিল বাড়লেও নাগরিকসুবিধা বাড়েনি। বরং নানান ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। ২০২০ সালে সিঙ্গাপুর ও দেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ঢাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশন পৃথক দুটি আলাদা বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেয়। ঢাকা দক্ষিণের পক্ষ থেকে ‘কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট’ ও উত্তর সিটির পক্ষ থেকে ‘ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট’ নামে পৃথক দুটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে যারা বসবাস করেন তাদের নতুন কারো সঙ্গে দেখা হলেই জিজ্ঞাস করেন ‘আপনার এলাকায় মশা কেমন? মহানগরবাসীর ‘মশার যন্ত্রণা’ কমন ইস্যু হয়ে গেছে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির কয়েকটি এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক, খাল, নর্দমা থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে মশার উৎপাত। মশার লার্ভা জন্মের অন্তত অর্ধ শতাধিক জায়গা শনাক্ত করা হয়েছে। খাল ও নর্দমা ছাড়াও নগরের বস্তি, রাস্তার পাশের ময়লার ভাগাড়, ঝোপঝাড়, টায়ারের দোকান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা মোটর যান মশা জন্মানোর উপযুক্ত স্থান। এছাড়া ঢালাই মেশিন, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা পলিথিন, কর্কশীট, বিভিন্ন মার্কেটের পরিত্যক্ত ছাদ, দুই বাড়ির মাঝের পেসেজে বৃষ্টির পানি ও ভবনের ট্যাংকীর পানি জমে সেখানে মশা জন্মাচ্ছে। রাজধানীবাসীর অভিযোগ, গোটা নগরজুড়েই মশার উপদ্রব অসহনীয় মাত্রায় চলে গেছে। মশার উপদ্রব মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দিনেও ঘুমাতে পারেন না মানুষ। অফিস আদালত থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট কিংবা বাসা বাড়ি সব জায়গাতেই মশার যন্ত্রণা।
রাজধানীর কয়েকটি এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, সূর্য ঢলে পড়তেই ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ, বিরক্ত। দিনে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। রাস্তায় একটু দাঁড়ালেই মাথার ওপর মশাদের জটলা বেঁধে যায়। নগরবাসীর অভিযোগ এমনিতেই করোনা নিয়ে আতঙ্ক; তারপর আবার মশার উপদ্রবে ডেঙ্গু আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
মশা দমনে দুই করপোরেশনের কার্যক্রমে মানুষ নাখোশ। তাদের প্রশ্ন ‘দিনে-রাতে ঘুমাতে মশার কয়েল বা অ্যারোসল ব্যবহার করলে সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স দেবেন কেন? ২০১৯ সালে (আগস্ট-নভেম্বর) এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকাসহ সারাদেশে আক্রান্ত হয়ে কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসা নেন। ডেঙ্গু ভয়াবহতা রোধে হস্তক্ষেপ করতে হয় উচ্চ আদালতকে।
ঢাকার মশার আন্তর্জাতিক পরিচিতি : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বলা হয় দেশে প্রবেশ দ্বার। এই পথ ব্যবহার করে দেশ-বিদেশের মানুষ যাতায়াত করেন। দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর বিদেশিদের কাছে ‘মশার বিমানবন্দর’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। বিমানবন্দর এলাকায় কচুরিপানাযুক্ত ৫৪টি পুকুর আছে। রানওয়ের পাশে পুকুর ও পানিবদ্ধ এরিয়ায় প্রচুর মশা। বিমানবন্দরে মশার উৎপাত এত বেশি যে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাত্রীসহ সবাই অতিষ্ঠ। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ যাত্রী, যাত্রীর স্বজন ও বিমানবন্দরের কর্মীরা। মশার উৎপাতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন যাত্রী ও তাদের স্বজনরা। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে গত ২১ জানুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মশা তাড়ানোর জন্য ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বৈঠকে বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান ও শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচ এম তৌহিদ উল আহসান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিটি করপোরেশন, সিডিসি এবং বেবিচকের সমন্বয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে তিন মাইলের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা, মশা নিধনে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে বলা হয়। কিন্তু মশা তাড়ানো যায়নি।
মশা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন : রাজধানী ঢাকায় গত বছরের এই সময়ের তুলনায় বর্তমানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে চারগুণ। আর মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া না হলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মশার ঘনত্ব বেড়ে চরমে পৌঁছাবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, প্রতি মাসেই যাতে মশার ঘনত্ব কেমন হচ্ছে তা তুলনা করার জন্য এই গবেষণা করা হয়।
গবেষণায় বলা হয় জানুয়ারির শেষের দিকে মশার ঘনত্ব অন্য সময়ে যা থাকে তার চেয়ে চারগুণ বেশি বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করা হলে জানুয়ারিতে অন্যান্য মাসের তুলনায় চারগুণ মশার ঘনত্ব পেয়েছি, বিশেষ করে লার্ভার ডেনসিটি। মশার ঘনত্ব কেমন বাড়ছে সেটা জানতে ঢাকার উত্তরা, খিলগাঁও, শনির-আখড়া, শাঁখারিবাজার, মোহাম্মদপুর ও পরীবাগসহ ছয়টি এলাকার নমুনা নিয়ে গবেষণা চলছে। এই ৬ জায়গাতে গড় ঘনত্ব প্রতি ডিপে (মশার ঘনত্ব বের করার পরিমাপক) আমরা মশা পেয়েছি ৬০টিরও বেশি। যেখানে আমরা অন্যান্য সময় পাই ১৫-২০টি।
গবেষণায় বলা হয়, বর্তমান সময়ে যে মশা দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে ৯৯% হচ্ছে কিউলেক্স মশা, এডিস মশা নয়। এই মশা সাধারণত পঁচা পানিতে হয়। নর্দমা, ড্রেন, ডোবা, বিল ঝিলে পানি এখন পঁচে গেছে। সেই সাথে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে এবং পানি বহমান না থাকার কারণে কিউলেক্স মশার জন্মানোর হার বেড়ে যায়। শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে প্রকৃতিতে যে মশার ডিম থাকে সেগুলো একযোগে ফুটে যায়। যার কারণে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। কিউলেক্স মশার কামড়ে অনেক সময় গোদ রোগ হয়। যেটাকে ফাইলেরিয়াসিস বা এলিফ্যান্টিয়াসিসও বলা হয়। এটি হলে হাত পা ফুলে বড় হয়ে যায়।
জানতে চাইলে মশা গবেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, নির্দিষ্ট কোনো একটি কীটনাশক একটানা পাঁচ বছরের বেশি ব্যবহার করা হলে মশা সেই কীটনাশকের বিপক্ষে সহনশীলতা তৈরি করে। এটি একটি জেনেটিক মেকানিজম। মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি পাঁচ বছর পর পর কীটনাশক পরিবর্তন করা দরকার। প্রথমত মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে র্যাপিড অ্যাকশনের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আওতায় সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি জায়গায় যেখানে পানি রয়েছে সেখানে একযোগে লার্ভা নিধনের ওষুধ ছিটিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে জনগণের সহায়তা বিল-ঝিল-ডোবা-নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে।
গবেষক জানান, দ্বিতীয়ত মশার জৈবিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব প্রাণী প্রাকৃতিকগতভাবেই মশা খেয়ে থাকে সেগুলো যেমন গাপ্পি ফিস, ব্যাঙ, ড্রাগন ফ্লাই-এগুলো ব্যবহার করতে হবে। তৃতীয়টি হচ্ছে কীটনাশক। দুই ধরণের কীটনাশক রয়েছে যাদের মধ্যে এক ধরনের কীটনাশক লার্ভা ধ্বংস করে এবং অন্যটি পূর্ণ বয়স্ক মশা মেরে ফেলতে ব্যবহার করা হয়। আর চতুর্থটি হচ্ছে, মশা নিধন কর্মযজ্ঞে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। শুধু কোনো একটি কর্তৃপক্ষ বা সিটি কর্পোরেশনের একার পদক্ষেপে মশা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। এর জন্য জনগণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণ দরকার।
মশা মারার পরিকল্পনা : ২০২০ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে নিয়ে দুই সিটি কর্পোরেশন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এবার আগেভাগে প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পুরো বছরের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। মশক নিধনের বছরব্যাপী এই কর্মপরিকল্পনা স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তাতে ডেঙ্গুর প্রাক-মৌসুম, মূল মৌসুম এবং মৌসুম পরবর্তী পরিকল্পনা করা হয়েছে।
দুই সিটি করপোরেশনের কর্মপরিকল্পনায় মশার অন্যতম প্রজননস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ডিপো, থানায় রাখা পুরোনো গাড়ি, সিভিল এভিয়েশনের আওতাধীন এলাকা, নির্মাণাধীন ভবন, জমে থাকা পুরোনো টায়ারকে। এসব জায়গায় মশার প্রজনন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব, ঢাকা মহানগর পুলিশ, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, টায়ার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় সভা করার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আঞ্চলিক পরামর্শ ও অবহিতকরণ সভার আয়োজন করবে ডিএসসিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।