পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীত জেঁকে বসার পর পরই শহরের পাড়া-মহল্লায় জমে উঠে ব্যাডমিন্টন খেলা। প্রতিবছর শীত এলেই তারুণ্য মেতে ওঠে এই খেলায়। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই নগরীর মাঠে ফ্লাডলাইটের আলোয় সরগরম হয়ে ওঠে ব্যাডমিন্টন খেলা। এসময় র্যাকেটে বাড়ি খেয়ে শাটল কর্কের ছুটে যাওয়ার শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ।
ব্যাডমিন্টন খেলাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় টান টান উত্তেজনা। সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে নানাবয়সী নারী-পুরুষ মাঠে নেমে পড়েন ব্যাডমিন্টন খেলতে। কোথাও কোথাও আয়োজন করা হয় টুর্নামেন্টের। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ পড়–য়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা চাঁদা উঠিয়ে বানান ব্যাডমিন্টন কোর্ট, দু’পাশে বাঁশের সঙ্গে বোর্ড ঝুলিয়ে লাগানো হয় ডজনখানেক লাইট।
প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার পর অফিস ফেরত কর্মজীবী মানুষ আর তরুণ-তরুণীরা র্যাকেট হাতে হাজির হন পাড়ার মাঠে। যেখানে খেলার জন্য উপযুক্ত মাঠে নেই সেখানেও থেমে নেই ব্যাডমিন্টন। সামান্য আঙিনার ওপরও চলছে হাওয়ায় শাটল ছোড়ার খেলা।
এবার ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের সাবেক তারকা শাটলার রাসেল কবির সুমন। বাড়ির ছাদে সাধারণত বাগান গড়েন অনেকেই। রাজধানীবাসীদের ছাদ বাগান নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু এবার ছাদে বাগান নয়, তৈরী হয়েছে ব্যাডমিন্টন কোর্ট।
রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ বাড়ির ছাদেই সাবেক তারকা শাটলার রাসেল কবির সুমন নিজস্ব অর্থায়নে বানিয়েছেন ৪৪/২০ ফুটের ব্যাডমিন্টন কোর্ট। এখানেই গড়ে তুলেছেন ফয়সাল ব্যাডমিন্টন একাডেমি নামের এক প্রতিষ্ঠান। যেখানে তিনি প্রশিক্ষণ দেবেন উদীয়মান খেলোয়াড়দের। গড়ে তুলবেন আগামী দিনের আন্তর্জাতিক মানের শাটলার।
চলতি মাসের শুরুতে রাসেল কবির সুমনের ব্যাডমিন্টন কোর্ট ও ফয়সাল ব্যাডমিন্টন একাডেমির উদ্বোধন করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা, সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা, হাসানুজ্জামান হিটু ও নাজমুল হোসেন।
একাডেমি উদ্বোধনের সময় হাবিবুল বাশার বলেন, সবাই এখন কিছু না কিছু করতে চায়। আমাদের সন্তানরা এখন কোন না কোন খেলাধুলায় থাকতে চায়। ব্যাডমিন্টন এমন একটা খেলা যা আমরা সবাই খেলি। আমরা এটাকে শীতের খেলা হিসেবে জানলেও সারা বছর অনেক মানুষ ব্যাডমিন্টন খেলে থাকেন। বর্তমানে জায়গার অভাবে অনেকের আবার খেলার সুযোগ হয়না। সাবেক শাটলার রাসেল কবির সুমন কিছুটা হলেও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি একডেমির মাধ্যমে ব্যাডমিন্টন খেলা শেখাবেনও। গড়ে তুলবেন বাংলাদেশের ভবিষ্যত তারকা।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছেন নানা ডিসিপ্লিনে। কিন্তু সুযোগের অভাবে আমারা তাদের প্রতিভাটা দেখাতে পারি না। ফয়সাল ব্যাডমিন্টন একাডেমিতে এসে জানলাম আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ীই ব্যাডমিন্টন খেলা শেখানো হবে। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে বাংলাদেশ বিশ্বমানের কিছু শাটলার পাবে।
উদ্যেক্তা রাসেল কবির সুমন বলেন, ব্যবসা করতে নয়, ব্যাডমিন্টনের প্রতি ভালবাসার কারণেই নিজ বাড়ির ছাদে একাডেমি গড়েছি। একাডেমিতে স্বল্প খরচে ভালো কোচের তত্ত্বাবধানে ব্যাডমিন্টন খেলা শেখানো হয়। যারা এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন বা আসবেন তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানের শাটলার হিসেবে গড়ে তোলাই প্রধান কাজ। শুরুতে এই একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য ১০ জন খেলোয়াড় ভর্তি হলেও এখন এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি সহসা প্রশিক্ষণার্থী খেলোয়াড় সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।