পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ মাসের শেষে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চলমান পরীক্ষাগুলোর নতুন রুটিন প্রকাশ এবং শাহবাগে পুলিশের হাতে আটক শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধার মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলন স্থগিত করলেও রাতের মধ্যে আটককৃতদের মুক্তি এবং রোববারের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে গতকাল সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সরকারি কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ৩০জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানার ফটকের পাশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নিজেদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের ৩০-৪০ জনকে আটক করেছে। আমাদের নারী সহযোদ্ধাদেরও গায়ে হাত তোলা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা কোনো দল বা ব্যক্তির লোক নই। আমরা নিজেদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের আটককৃত সহযোদ্ধাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এরপর শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে সেখানে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলমান পরীক্ষাগুলোর যে নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে, তা আমরা মানি না। আমরা মার্চের মধ্যে পরীক্ষা চাই। আমাদের দাবি না মানা হলে আগামী রোববার সারা দেশে আমরা কঠোর কর্মসূচি পালন করব। আমাদের পরীক্ষাগুলো ফেব্রæয়ারির শেষ বা মার্চের প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। সাত কলেজের চলমান পরীক্ষা নেওয়া গেলে আমাদেরগুলো কেন নেওয়া যাবে না? আল আমিন নামে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, আজকের মতো আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি। কিন্তু আমাদের আটক সহযোদ্ধাদের যদি আজকের মধ্যে না ছাড়া হয় এবং চলমান পরীক্ষাগুলোর নতুন রুটিন প্রকাশ করা না হয়, তাহলে রোববার সারা দেশব্যাপী আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব।
আটককৃতদের বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ বলেন, শাহবাগ থেকে আমরা ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। এদের মধ্যে ২/৩ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের, যারা অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলনে এসেছে। সবার অভিভাবকদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তারা এলেই আটক হওয়াদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
হোস ইকোনমিক্সের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ: এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে গতকাল দুপুর ১১টার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করে কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের ছাত্রীরা। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে উঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে লালবাগ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিপেটার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশদের একটি অংশ তাঁদের মেরে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়। তাঁদের সঙ্গে কোনো প্রকার কথা না বলেই হামলা করেছে পুলিশ। বিকেলে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাত রুমিনা। তিনি বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। ইসমাত রুমিনা বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই আন্দোলন শুরু করে। তারা চাইছে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা আসুক। আমরা অভিযোগগুলো লিখিত আকারে দিতে বলেছি। শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৯ সালে শেষ বর্ষের পরীক্ষা আজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত দুই দিন আগে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় এসব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সড়ক অবরোধ করে রাখা শিক্ষার্থীরা ‘১৯ সালের পরীক্ষা, একুশে ধোঁয়াশা’, ‘ঘোষিত পরীক্ষা বাতিল হতে দিব না, দিব না’, ‘পরীক্ষা চাই, পরীক্ষা চাই’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।