Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ছাতকে দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টি মামলা: বিপাকে গ্রামবাসী

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:৫৫ পিএম

সুনামগঞ্জের ছাতকে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’টি পক্ষ থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেছে। একই সময়ে একই স্থানে পৃথক দু’টি ঘটনা দেখিয়ে থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে গ্রামে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের খাগামুড়া গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে আবদুল মছব্বির কালা মিয়ার সাথে মামলা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে একই গ্রামের মৃত কমর আলীর ছেলে লাল মিয়ার। লাল মিয়াসহ ৬জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে গরু চুরির একটি পিটিশন মামলা (নং-২৯৬/২০) দায়ের করেছিলেন আবদুল মছব্বির কালা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দেখা দেয় বিরোধ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মসজিদ থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন আবদুল মছব্বির কালা। পীরপুর বাজারের দক্ষিণ এলাকায় পৌঁছা মাত্র পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা গ্রামের মৃত কমর আলীর মেয়ে শাহেদা বেগম তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে শাহেদাসহ তার ভাইয়েরা মিলে তাকে টানা হেছড়া ও মারপিট করে পাশের ধান ক্ষেতে ফেলে আহত করে। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে কালার স্ত্রী রাহেনা বেগম (৫০) কেও তারা পড়নের কাপড়ে ধরে টানা হেছড়ে শ্লীলতাহানী করে এবং তার ডান পা ভেঙ্গে দেয়। প্রতিপক্ষের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি কালার ছেলে আলা মিনও (২২)। এ ঘটনায় আবদুল মছব্বির কালা বাদী হয়ে গ্রামের মৃত কমর আলীর ছেলে লাল মিয়া, মেয়ে শাহেদা বেগম, মৃত জবান আলীর ছেলে সোনাই মিয়া, আনাই মিয়া, আফতাব মিয়াকে আসামী করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-২৪) দায়ের করেন। এদিকে, একই দিনে একই সময় উল্লেখ করে ছাতক থানায় ধর্ষণের চেষ্টা ও সহায়তার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাল্টা মামলা (নং-২৩) দায়ের করেছেন গ্রামের মৃত কমর আলীর মেয়ে শাহেদা বেগম। গ্রামের আবদুল মছব্বিরের ছেলে আল আমিন ও আবদুল মানিকের ছেলে হাবিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করে এ মামলা দায়ের করেন। একটি অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মৃত কমর আলীর ছেলে লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ছাতক থানায় গরুচুরির মামলা (নং-১৪/২০) রয়েছে। সম্প্রতি একটি গরু চুরির মামলায় কারাভোগও করেছে সে। আর এ আক্রোসেই লাল মিয়ার বোন শাহেদা বেগম বাদী হয়ে গত বছরের ২৯ নভেম্বর আবদুল মছব্বির কালা মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১০জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-২৭) দায়ের করেছিলেন। গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপি সদস্য আনোয়ার আলী, খাগামুড়া গ্রামের মুরব্বি মখলিছুর রহমান, আজাদুল ইসলাম, আসমান গনি, ছোরাব আলী, গণি মিয়া, নূর গণি ও মন্তাজ আলীরা জানান, গরু চুরির মামলার বাদী হওয়ায় আবদুল মছব্বির কালার সাথে মৃত কমর আলীর ছেলে লাল মিয়া ও মেয়ে শাহেদা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে আর নাটক সাজাচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রয়ারী বিকেলে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে লাল মিয়ারা আবদুল মছব্বির কালার উপর হামলা চালায়। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে স্ত্রী রাহেনা বেগমকে শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে লোহার পাই দিয়ে তারা পা ভেঙ্গে দেয়। ওরা ছেলেকেও মারপিট করে আহত করেছে। এ হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু মূল ঘটনাকে আড়াল করে অসৎ উদ্দেশ্যে কমর আলীর মেয়ে শাহেদা বেগম ধর্ষণের চেষ্টা ও সহায়তার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। আবদুল মছব্বির কালার দায়েরী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মহিন উদ্দিন বলেন, মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিনে আছে। শাহেদা বেগমের দায়েরী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, থানার উপ-পরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে।



 

Show all comments
  • Azad mullah ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:১৩ পিএম says : 0
    তাহলে তো এখন পুলিশ অফিসার রা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাবে পুলিশ অফিসার রা যদি সটিক কাজ করে তাহলে মিথ্যা মামলা হতো না অনেক সময় দেখা গেছে পুলিশ অফিসার জেনে বুঝে ও ঘুষ খাইয়া উল্টা পাল্টা রিপট দিয়ে মানুষের বারোটা বাজিয়ে দেয় তবে আসা করি আললাহ যেন সত্যের সহায়তা করেন ও জালিমদের কে শায়েস্তা করেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ