Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে সাময়িক বরখাস্ত হলেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মজনু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪৯ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রতারণার মামলায় জেল হাজতে থাকা প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম মজনুকে (৪৫) সাময়িক বরখাস্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ । বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী। সাইফুল ইসলাম মজনু উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা নামাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ও তারাপুর ইউনিয়নের নিজামখাঁ গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ মাস্টারের ছেলে। জেলা শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী জানান, সাইফুল ইসলাম মজনুর বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার সিআর-৪২৩/১৯ নং মামলায় বিজ্ঞ আমলী আদালত গত ১৯-০১-২০২১ তারিখে তাকে জেল হাজতে পাঠান। সে কারণে ওই তারিখ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত হয়। সেই সাথে বরখাস্তের দিন থেকে তিনি সরকারি বিধি মোতাবেক থোরাকী ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মজনু বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত তরুন প্রি-ক্যাডেট স্কুলে প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক ও কর্মচারিসহ মোট ৬ জনকে নিয়োগ দেন। ডোনেশনের নামে তাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেন ১১ লক্ষ টাকা। ১৬ সালের ১জানুয়ারি থেকে তারা ওই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে যথারিতি শিক্ষকতা শুরু করেন। মাস শেষে শিক্ষক কর্মচারিরা বেতন ভাতার দাবী করলে প্রধান শিক্ষক জানান চাকুরীটা দাতা সংস্থার। যখন বেতন দিবে তখন একযোগে সব মাসের বেতন পাবেন আপনারা। এভাবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেতন ভাতা না দিয়ে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপন করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এরই এক পর্যায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীগণ বেতন ভাতা অথবা জামানতের টাকা ফেরত চাইলে টালবাহনাসহ অস্বীকার যান তিনি। পরে বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধায় সিআর (৪২৩/১৯) মামলা দায়ের করেন তরুন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সকল শিক্ষক কর্মচারির পক্ষে শিক্ষক আব্দুল মজিদ মিয়া। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উপর দায়িত্ব প্রদান করেন। পিবিআই এর তদন্তে প্রাথমিক ভাবে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ১৯ জানুয়ারি/২১ইং আদালতের ধার্য তারিখে আসামি সাইফুল ইসলাম মজনু হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উপেন্দ্র চন্দ্র দাস জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া চাকুরি দেয়ার সুবাদে মজিদের বাড়িতে ঘন-ঘন যাতায়াত করে তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে তাকে নিয়ে আত্গোমপনে থেকে অবৈধ মেলামেশা করার অভিযোগে মজনুর বিরুদ্ধে সিআর ১১৯/১৯ নং মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ