পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে কোভিড-১৯ চলাকালিন বাল্যবিবাহে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু বিবাহ বেড়েছে ২২০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দারিদ্র্য, নিরাপত্তাহীনতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিস এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন টিকা নিয়েছেন এবং নিবন্ধন করেছেন ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৫জন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ১৬৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ টিকা নিতে পেরেছেন। তবে বিশ্বের ১৩০ টি দেশ এখনও তাদের টিকা কমূর্সচি শুরু করতে পারেনি। যদিও টিকা দানের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫ তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, আফ্রিকার কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর পরিমাণ গত মাসে তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
আইসিটি বিভাগ সূত্র মতে, দেশে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা ৫৫ মিটিট পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৫জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত মোট ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন টিকা নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৩২ জন এবং নারী ৯ লাখ ২৬ হাজার ৯০৬ জন। এরমধ্যে ৬৬৯ জনের শরীরে টিকা নেয়ার পর মৃদু প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিস এর দেওয়া তথ্য মতে, টিকা দেয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে সংযুক্ত আরব আমীরাত। ২২ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত দেশটির মোট জনগোষ্টির ৫৬ দশমিক ১৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সে দেশের মোট ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষকে ইতিমধ্যে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। টিকা দেয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েল। সেখানে মোট জনগোষ্টির ৪৯ দশমিক ১১ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। যা সংখ্যা ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ সেশেলস। দেশটি মোট জনগোষ্টি ৪২ দশমিক ৫৪ ভাগ মানুষকে টিকা দিয়েছে। চতুর্থ অবস্থা রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটি মোট জনগোষ্টির ২৫ দশমিক ৪১ ভাগ মানুষকে টিকা দিয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫ তম।
টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এই অঞ্চলে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটি মোট জনগোষ্টি ১২ দশমিক ৯৫ ভাগ মানুষেকে টিকা দিতে পরেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে মোট জনগোষ্টির এক দশমিক ২৬ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত, পঞ্চম অবস্থানে নেপাল এবং ছষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের ৫২ শতাংশ মানুষ এখনো টিকা দিতে আগ্রহী নয় বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে ৩২ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। যারা মনে করেন এই টিকা অত্যন্ত কার্যকর এবং করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে।
এদিকে গত ৮ মার্চ থেকে ১৩ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত করোনা সন্দেহে সারাদেশে দুই হাজার ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে পুরুষ ১৭৭৫ জন এবং নারী ৪৩৭ জন। করোনা সন্দেহে মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩৪ জন। এছাড়া ঢাকায় ৩৯৪ জন, খুলনায় ৩৫৯ জন, বরিশালে ২৪৪ জন, রাজশাহী ২২৩ জন, সিলেট ১০২ জন, রংপুর ৯৫ জন এবং ময়মনসিংহে ৬১ জন সন্দেহজনক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। জেলা হিসাবে সবচেয়ে বেশি সন্দেহজনক মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লায় ২৫২ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর ১৫৭ জন। এছাড়া তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে খুলনা এবং সাতক্ষীরা ১১০ জন করে। করোনা সন্দেহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ২০২০ সালের জুন মাসে ৮৪৩ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর বুধবারের তথ্য অনুয়ায়ী, দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে আবারও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এরই মধ্যে ইউরোপেসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরণ, যা আগের করোনাভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ভাইরাসটিতে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি ২৬ লাখ ৫১ হাজার ১০১ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৬ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।