Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চতুর্থ দিনে সাড়ে ছয় হাজার স্থাপনা পরিদর্শন

ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশা নিধন অভিযানের চতুর্থ দিন ছিল গতকাল বুধবার। এদিন ৬ হাজার ৬৬৪টি সড়ক, নর্দমা, খাল, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২৮টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪ হাজার ৩৯৬টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ১৪টি মামলায় মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গত শনিবার ডিএনসিসি এ অভিযান শুরু হয়েছে।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) গতকাল ৬৮৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫৫০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ১২০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ১ হাজার ৯৯৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৯৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এ অঞ্চলে ৫টি মামলায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২০৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এদিকে, কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১৫২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১০০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৩৫৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ৫৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এ অঞ্চলে রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখায় ৬টি মামলায় ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৯১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬২২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৭৭১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।

মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩৫২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এ অঞ্চলে ২টি মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৪৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। ডিএনসিসি জানায়, শুক্রবার ব্যতীত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন এ অভিযান চলমান থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএনসিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ