পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ লাখ টাকা থেকে তদূর্ধ্ব ঋণখেলাপিদের প্রয়োজনে গ্রেফতার করে হাজির করানো হবে-মর্মে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল পিপলস লিজিংয়ের ১৪৩ ঋণখেলাপি হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে ৫১ জন ঋণ খেলাপি তাদের আইনজীবীসহ হাজির হন। বিষয়টি দৃষ্টিতে আনা হলে আদালত বলেন, আদালতের তলবে যারা আজকে আসেননি, তাদের আরেকবার সুযোগ দেয়া হবে। এরপরও তারা না এলে প্রয়োজনে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করা হবে। এ সময় ঋণখেলাপিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে ‘চোর’ এবং ‘ডাকাত’ আখ্যায়িত করে বলেন, পি কে হালদার এবং এস কে সুর যে আকাম-কুকাম করছে সেটা তো আছেই। আমরা দেখছি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কি-না। আমানতকারীরা আজকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। একটি কোম্পানি অবসায়ন করতে হলেও তার একটা প্রসিডিং আছে। আমরা সেটাও দেখছি। একটা পথ বের করার চেষ্টা করছি। এ সময় অনেক ঋণখেলাপি টাকা পরিশোধের জন্য আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন। এক পর্যায় আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে ‘চোর, ডাকাত’ অ্যাখ্যায়িত করেন।
পরে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, অনিয়ম রোধে কিভাবে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় এ বিষয়ে পরামর্শ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্য শুনবেন বলে জানান হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ সাংবাদিকদের জানান, আদালত দুদক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত জানতে চেয়েছেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত তাদের বক্তব্য শুনবেন। এর আগে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কমিটি (বিআইএফসি), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং নামক তিন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক ধস খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পুনর্গঠন করে দেন হাইকোর্ট। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তার দুর্নীতিও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
অন্যদিকে পিপলস লিজিং কোম্পানির কৌঁসুলি ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান জানান, গতবছর ২৩ নভেম্বর পিপলস লিজিং কোম্পানির অন্ততঃ ৫শ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা আদালতে দাখিল করা হয়।
ওই ঋণগ্রহিতাদের তালিকা থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থ ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে কারণ দর্শাতে বলেন আদালত। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল। গত বছর ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান মেজবাহুর রহমান। এ ঋণ ও ঋণ পরিশোধ বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ২৮০ ব্যক্তিকে হাজির হতে বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।