পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720365690](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নতুন অন্তর্ভুক্তিতে যাচাই-বাছায়ের পরও সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়নি প্রতিবেদন। এতে বিপাকে পড়েছেন সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধারা। রহস্যজনকভাবে তা সংশ্লিষ্ট দফতরে না পাঠিয়ে ফাইলবন্দী করে রাখার অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তারা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মানিকুজ্জামান। তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় বিভিন্ন জটিলতায় নাম অন্তর্ভুক্তি হয়নি অনেক মুক্তিযোদ্ধার। বর্তমান সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অধীনে ২০১৪ সালে তালিকায় নাম বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হয়। সে তালিকায় অর্šÍভুক্তিতে সারাদেশের মতো ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তালিকা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধারা আবেদন করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পাঠানো আবেদন যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি। কিন্তু সারাদেশ থেকে যাচাই বাছাই পরবর্তীতে প্রতিবেদন অনুসারের নাম অর্ন্তভুক্তি কার্যক্রম শুরু হলেও কেবলমাত্র ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তালিকাটির কোন হদিস নেই।
তারা অভিযোগ করেন, কোন এক অজানা কারণে প্রতিবেদনটি ফাইলবন্দী করে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। দ্রুত প্রতিবেদন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অর্ন্তভুক্তির পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানান। তারা বলেন, প্রতিবেদন ফাইলবন্দি করায় অগ্রগতি নেই। এ ফাইলের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়েছে কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। সময়ের ব্যবধানে সেই অপশক্তির নাম পরিচয় আমরা তুলে ধরতে বাধ্য হবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারি জানান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এ সময় তারা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজেদের নাম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন। তালিকাভুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রথম শহীদের গৌরব অর্জন করেছিলেন আসাদুজ্জামান বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ধীরেন্দ্র কুমার দাস, শহীদ মো. আবদার আলী, মৃত সৈয়দ মুজাহিদ আলী, বদরুল ইসলাম (নিলু), মৃত শহীদুল করিম চৌধুরী, আব্দুল বাছিত চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল লতিফ, মৃত নজমুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জব্বার।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রয়োজনে পুনরায় তদন্ত করেও বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্তির দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মখলিছুল করিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জব্বার, মো. শিহাব চৌধুরী, সৈদয় মোস্তফা নেওয়াজ, মো. আসফাকুল ইসলাম (সাব্বির) ও সুমা করিম চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।