Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এক টেন্ডারে ৮ বছর

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

অবিশ্বাস্য বিস্ময়কর মূল্য তালিকা। এক টেন্ডারে ৮ বছর ধরে কলারোয়া হাসপাতালের রোগীদের খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। ফলে রোগীরা তাদের উপযুক্ত খাদ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস রোগীদের খাদ্য সরবরাহে টেন্ডার আহবান করে। টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে কলারোয়ার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত নওফেলের পুত্র সিরাজুল ইসলাম কলারোয়া হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহের কার্যাদেশ পায়। ২০১৩ সালের টেন্ডারে নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী ২০২১ সালে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। গত ৮ বছর আগে টেন্ডারের মাধ্যমে যে মূল্য তালিকায় খাদ্য সরবরাহ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য তার চেয়ে অনেক কম বলে সূত্র জানায়।
সূত্র মতে, একমণ জ্বালানী কাঠের বর্তমান বাজার মূল্য ৮০ টাকা হলেও ২০১৩ সালের টেন্ডারের কার্যদেশ অনুযায়ী ঠিকাদারকে ৪২০ টাকা পরিশোধ করা হয়। এককেজি পাঙ্গাস/তেলাপিয়ার দাম ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা হলেও ঠিকাদারকে ৩৯০ টাকা পরিশোধ করা হয়। এককেজি ওজনের রুই/কাতলা মাছের দাম সর্বচ্চো ২০০ টাকা হলেও ঠিকাদারকে সাড়ে ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়। এককেজি পোল্ট্রি মাংসের দাম ১৮০ টাকা হলেও ঠিকাদারকে ৪৫৩ টাকা এবং ৬০ টাকা কেজি দরের মুশুর ডালের দাম ১৫৪ টাকা পরিশোধ করা হয়। টেন্ডারের ৮ বছর পরেও অনেক খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশী। এদিকে জেলা শহরের চেয়ে উপজেলা শহরে এ সব মাছ, মাংস তরিতরকারির দাম সাধারণত কম। কিন্তু সিভিল সার্জন অফিসে টেন্ডার আহবানে জেলা শহরের বাজার মূল্যে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ আদেশ দেয়া হয়। এতে রোগী প্রতি বরাদ্ধ ১২৫ টাকায় রোগীরা অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ খাদ্য পায়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ঠিকাদারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে পরে কথা হবে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। কিন্তু ঠিকাদার পরে আর মোবাইল রিসিভ করেনি।
এ প্রসঙ্গে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি গত ২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর কলারোয়া হাসপাতালে যোগদান করে জানতে পারেন হাইকোর্টে এক রিটের জন্য নতুন করে টেন্ডার হয় না। কিন্তু কি নিয়ে রিট হয় এবং কি আদেশ হয় সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ