রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ২৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত শনিবার দিনগত রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নম্বর উর্দুভাষী (বিহারী) ক্যাম্প এলাকায় শনিবার রাত ১১টার সময় প্রচারণা চালান জাপা প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। প্রচারণা শেষে ফেরার পথে ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভুলুর বাসার সামনে এলে তার সমর্থকদের সঙ্গে জাপা কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন কর্মী আহত হয়। এসময় ২৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সৈয়দপুর জাতীয় পার্টি পৌর শাখার আহ্বায়ক ও মেয়রপ্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক জানান, এ ঘটনার রাতে পথসভা শেষ করে ফেরার সময় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি হিটলার চৌধুরীর বাড়ির সামনে জাপার নেতাকর্মীদের সাথে আ.লীগের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তার ২০-২২ জন কর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলায় তার ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ২টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। এটি আ.লীগের পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করেন তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন জানান, প্রচারণা শেষে নির্বাচনী কার্যালয়ে ফেরার সময় তারা আ.লীগ নেতাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে আ.লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাসায় হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ওই নেতার বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলগুলো পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, পরবর্তী যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ সতর্ক ও তৎপর রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।