Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাবির আন্দোলনকারীদের ছয়দফা দাবি

খাবারের দোকান বন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:০২ পিএম

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে সামিয়া হাসান নামের এক ছাত্রী এসব দাবি তুলে ধরেন।

তাদের দাবি গুলো হল- দ্রুত এই পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও রেকর্ড দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করতে হবে, গেরুয়াতে অবস্থিত শিক্ষার্থীদের পুলিশি হেফাজতে ক্যাম্পাসে আনতে হবে, নিরাপত্তার স্বার্থে হল খুলে দিতে হবে, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সকল ক্ষতিপূরণ ব্যয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে, ক্যাম্পাস ও আশেপাশের সকল শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের নিতে হবে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে তার দায়ভার ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে, এর দায় শিক্ষার্থীর নয়।

সংবাদ সম্মেলনে সামিয়া হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করার কথা বলছে প্রশাসন। তবে আমরা বলতে চাই অজ্ঞাত কারও নামে এ মামলা করা যাবেনা। কারণ কারা হামলায় জড়িত এটা সবাই জানে। চিহিৃত সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে হবে।’

এদিকে শিক্ষার্থীরা যাতে কোন খাবার খেতে না পারে সে জন্য গেরুয়া এলাকার সকল খাবারের দোকান জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গেরুয়ার অনেকেই শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে খাবার বিক্রি করতো, তাদেরকেও খাবার দিতে নিষেধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গেরুয়ার আজকে সকালের যে পরিস্থিতি দেখলাম তা খুব ভীতিকর। সব পোলাপাইন গেরুয়ার সব ধরনের দোকান জোর করে বন্ধ করে দিয়েছে। যারা রুমে রুমে খাবার দিতো তাদের খাবার দিতে না করছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত প্রকৃত ঘটনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে সব হলগুলো খুলে দিয়ে রানিং স্টুডেন্টদের হলে ফিরিয়ে নেওয়া, এবং সাবেক যারা আছি তাদের নিরাপত্তা দিয়ে ইসলামনগর, আমবাগানে শিফট করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এর বিকল্প আছে বলে মনে করছি না। তারা বলছে গেরুয়ায কোন স্টুডেন্ট থাকবে না।’

স্নাতকোত্তর অপর এক শিক্ষার্থী তরিক ফরহাদ বলেন, ‘আমরা ভয়ে বের হচ্ছি না। চুপ করে দোকানের পিছ দিয়ে ঢুকে খাবার নিতাম। এখন সেটাও বন্ধ। দোকানিরা বললো স্থানীয়রা এসে জোর করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।’

এদিকে শনিবার হলের তালা ভেঙে ছেলেদের হলগুলোতে ওঠে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত তারা হলেই কাটিয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসের ভিতরে সকল ধরনের দোকান বন্ধ রয়েছে। যার কারণে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘খাবার সরবরাহ বন্ধ রেখে টেকনিক্যাল চাপ প্রয়োগ করছে এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীরা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক এলাকায় যেসব দোকান আছে সেখানে খাবার খাইতে পারে। নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্তে নয় বরং সরকারী সিদ্ধান্তে বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে খাবারের দোকানগুলো খুলতে সরকারী নির্দেশনার প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চালু করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ সেহেতু আমাদের কিছু করার নেই। তবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আসলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ