Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে আ’লীগ নেতার ছত্রছায়ায় আড়াইলাখ টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৫৩ পিএম

সিলেটের বিশ‌বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কবির হোসেন কুব্বারের নেতৃত্বে আড়াই লাখ টাকার গাছ কর্তৃনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কবির হোসেন কুব্বারকে প্রধান আসামি করে গত ৩১ জানুয়ারি সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন অপর আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস আজিজ বাবলু। কিন্তু মামলা রুজুর পর থেকে থানা পুলিশ ও সালিশকারী কিছু ব্যক্তির দ্বারা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন মামলার বাদী। তিনি হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাক্তণ দপ্তর সম্পাদক প্রয়াত আজিজুর রহমান মাষ্টারের ছেলে। তিনিও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শিশুকশোর মেলার সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ফেরদৌস আজিজ বাবলুর বসত ঘরের সামনের গাছপালা নিয়ে পাশের বাড়ির নানু মিয়ার (৩৫) সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্ঠি হয় দু’জনের। এনিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে গ্রামের মুরব্বীদের স্থানীয় হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বারও সালিশে যান। এক পর্যায়ে বৈঠকে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হলে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বারের নেতৃত্বে প্রায় আড়াই লাখ টাকার নারিকেল, কাঠালসহ বড় বড় বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়।
বাদীর আজিজুর রহমান বাবলুর অভিযোগ, তিনি থানায় মামলা দায়ের করে বিপদে পড়েছেন। একদিকে আসামি কুব্বারসহ অন্য আসামিদের হুমকি ধামকি আর অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। এই ভয়ে বর্তমানে তিনি চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
মামলার প্রধান আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বার বলেন, আমার সেল্টারে নয়, সালিশকারিদের সিদ্বান্তে গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার পর থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরও করা হয়েছে। কিন্তু আমি কাউকে হুমকি ধামকি দেননি। এছাড়া গাছ কাটার দিন আরও দুই শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সঞ্জয় দেব সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কাউকে অযথা হয়রানী করেননি। আর ভুল তথ্য উপস্থাপন করে মামলা করায় দীর্ঘ তদন্তের পর এরই মধ্যে আদালতে প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ