বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে ইয়াবা ও কার্তুজ দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল পরিকল্পনাকারীর সন্ধান এখনো পায়নি অভিযান পরিচালনাকারী নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই ব্যবসায়ীর ধারনা, অংশীদার ব্যবসায় বিরোধের জেরে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল।
রোববার ৫ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইফতেখার করিম চৌধুরী (৪৮), মো. সোহেল (২৬), মো. ফয়সাল (২০), নজরুল ইসলাম (৪২) এবং জামাল হোসেন (৪১)। এদের মধ্যে ফয়সালের বাসা নগরীর হালিশহর বি-ব্লকে। বাকিদের বাসা নগরীর লালখান বাজারে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে 'হেয়ার এন্ড ফেয়ার' নামে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ।
ঘটনার শিকার মো. মান্নান শেখ নগরীর জাকির হোসেন সড়কে ওমরগণি এমইএস কলেজের সামনে টাক মাথায় চুল গজানোর' চিকিৎসা দেওয়া প্রতিষ্ঠান হেয়ার এন্ড ফেয়ারের মালিক। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। থাকেন নগরীর খুলশী এলাকায়।
শনিবার সন্ধ্যার পর পুলিশ জানতে পারেন, হেয়ার এন্ড ফেয়ারে ইয়াবা ও কার্তুজ রক্ষিত আছে। খবর পেয়েই অভিযানে নামে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম। সেখানে গিয়ে সোর্সের দেখানো মতে, গ্রাহকের বসার সোফার নিচ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। কিন্তু সোফার নিচে ইয়াবা ও কার্তুজ দেখে তাদের সন্দেহ হয়।
এছাড়া ডিবি'র টিম পৌঁছার আগেই সেখানে পৌঁছান কথিত অনলাইন পত্রিকার চার সাংবাদিকও। ঘটনাস্থলে থাকা ফয়সালের আচরণও সন্দেহজনক মনে হয়। টিমের সদস্যদের কাছ থেকে এসব তথ্য পেয়ে ডিবি'র উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান এবং ওই কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেন।
ফুটেজে দেখা যায়, বিকেলে দু'জন লোক দোকানে প্রবেশ করে। একজনের মাথায় চুল নেই, আরেকজনের চুল আছে। চুলবিহীন ব্যক্তি ম্যানেজারের সঙ্গে গিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত কথা বলতে থাকেন। এর ফাঁকে ফয়সাল বসে পড়েন সোফায়। তাদের কথাবার্তার একফাঁকে ফয়সাল সোফার নিচে ইয়াবা ও কার্তুজ রেখে দেয়।
পুলিশ জানায় সোহেলকে ইয়াবাগুলো দিয়েছে নজরুল, যিনি পেশায় গাড়িচালক। নজরুল জানান, তাকে ইয়াবাগুলো দিয়েছেন ইফতেখার করিম চৌধুরী, যিনি একজন ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। আর জামাল পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। জামাল তার অটোরিকশায় করে সোহেল ও মাথায় চুলবিহীন ওই ব্যক্তিকে দোকানটিতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এই পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন।
পুলিশের ভাষ্য ইফতেখার করিম চৌধুরী এবং নজরুল খুবই ঘনিষ্ঠজন। নজরুলের তথ্য অনুযায়ী, ইফতেখার তাকে ইয়াবা ও কার্তুজ দিয়ে ব্যবসায়ী মান্নান শেখকে ফাঁসানোর দায়িত্ব দেয়। তখন নজরুল অটোরিকশা চালক জামালের মাধ্যমে ফয়সাল ও সোহেলকে এ কাজের জন্য ভাড়া করে। তবে ইফতেখার করিম চৌধুরী কেন মান্নান শেখকে ফাঁসাতে চেয়েছেন, এর পেছনে কারা আছেন সেটা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।