বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস পালিত হচ্ছে।
বাংলা ভাষাভাষী বাঙালির মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার এ দিনের প্রথম প্রহরে বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামবাসী।
করোনাকালে ব্যাপক জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিতির কমতি নেই । বরং সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দুই জনের শ্রদ্ধা নিবেদনের যে নির্দেশনা সিএমপি জারি করেছে, তা মানতে দেখা যায়নি।
প্রথম প্রহরে পুলিশের সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে শনিবার রাত ১১ টার পর থেকেই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে লোকজন আসতে শুরু করে। বিভিন্ন সংগঠন, নানা শ্রেণীপেশার মানুষ স্লোগানে মুখর করে তোলে শহিদ মিনার এলাকা।
সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী কাউন্সিলরদের নিয়ে শহিদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ফুলেল শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ , চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার তানভীর মোহাম্মদ সালেহ, চট্টগ্রামের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান , পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে শহিদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবারের একুশের ভোরে প্রভাতফেরিতে ব্যাপক জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
এদিকে দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবে।
নগর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠন সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা সহকারে শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে। এসময় দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপিও শ্রদ্ধা জানাবে।
ফুল দেওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে পৃথক কর্মসূচি পালন করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় লালদীঘি পাড়ের সিটি করপোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।