পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে গতকাল শনিবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক-২০২১ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পক্ষ থেকে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর) ও অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ভাষা আন্দোলনে তাদের পালন করা ভূমিকার জন্য পদক পেয়েছেন। বেগম পাপিয়া সারোয়ার সংগীতে, রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সালমা বেগম সুজাতা অভিনয়ে, আহমেদ ইকবাল হায়দার নাটকে এবং সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা লাভ করেছেন। ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় আবৃত্তিতে, পাভেল রহমান আলোকচিত্রে এবং গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) মুক্তিযুদ্ধে রাখা অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছেন।
অজয় দাশগুপ্ত সাংবাদিকতায়, অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা গবেষণায়, মাহফুজা খানম শিক্ষায়, ড. মির্জা আব্দুল জলিল অর্থনীতিতে ও অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান সমাজসেবায় পদক পেয়েছেন। কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ ভাষা ও সাহিত্যে নিজেদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পেয়েছেন। তারা প্রত্যেকে একটি স্বর্ণপদক, সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক লাভ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের ওপর মানপত্র পাঠ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।