Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৫৯ পিএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৩৫০ জন। সবশেষ ২০২০ সালের ৬ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেদিন ৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। গতকাল শনিবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৩৪২ জনের মৃত্যু হলো। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৫০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৪ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৪২৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২ জন হয়েছে। সপ্তাহভিত্তিক যে তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত সাত দিনে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ০ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে। কিন্তু রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ। তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা ৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৮টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব তথা সর্বমোট ২১৪টি ল্যাবে ১১ হাজার ১৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৪১৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ আর নারী ২ জন। তাদের চারজন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাদের সবাই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৩৪২ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩১৪ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ২৮ জন নারী। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৩২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৭৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৪৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৬৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫২৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৮ জন খুলনা বিভাগের, ২৫২ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বিশ্বে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৭ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ; আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ