Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈকতে পর্যটকের ঢল

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

পর্যটন শহর কক্সবাজার সৈকতে গতকাল ছিল মানুষের ঢল। পর্যটন মৌসুমের প্রায় শেষ। সাপ্তাহিক ছুটির সাথে মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে অবকাশ যাপনে সব শ্রেণির মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। অবস্থা আরো কয়দিন চলতে পারে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট, কলাতলীর ডলফিন পয়েন্টসহ ইনানী, হিমছড়ি ও টেকনাফ সৈকতে গতকাল শুক্রবার দেখা গেছে পর্যটকে ভরপুর।
একইভাবে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে মুখর হয়েছে পর্যটকে। শহরের পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে বেড়েছে পর্যটকের পদচারণা। জানা গেছে, করোনার প্রকোপ কম থাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, এবং শীতের প্রকোপ শেষে সব শ্রেণী পেশার মানুষ কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরু থেকে অবকাশ যাপনের জন্য মানুষ কক্সবাজার আসতে শুরু করেছেন। আর এজন্য কয়েকমাস আগে থেকেই হোটেল মোটেল বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছে।
হোটেল মোটেল জোনে খবর নিয়ে জানা গেছে, তারকা হোটেল থেকে সাধারণ হোটেল পর্যন্ত ৪ শতাধিক হোটেলের কোথাও রুম খালি নেই। এমনকি আগে বুকিং না দিয়ে যারা গতকাল এবং আজ কক্সবাজার আসছেন তাদের রাত যাপনের কোন স্থান হবে না। যানবাহনে, রাস্তায় অথবা শহরের বাসাবাড়িতে রাত যাপন করতে হবে তাদের।
হোটেল সীগালের সিইও ইমরুল হাসান রুমী বলেন, এবারে বেশ ভালো পর্যটক এসেছেন। এ প্রসঙ্গে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ সমিতির নেতা আলহাজ আবুল কাসেম সিকদার বলেন, মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে বেশ ভালো পর্যটক এসেছেন। এটি করোনা সঙ্কটের ক্ষতি পোষাতে সহায়ক হবে। টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, সৈকতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক নজদারি রয়েছে। পাশাপাশি করোনা সতর্কতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতিও নজর রাখা হচ্ছে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখীর কুয়াকাটা সৈকতও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। এছাড়াও কুয়াকাটার আশেপাশে দর্শনীয় স্থানেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লীতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা, রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধবিহার। ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুটকিপল্লী, ইলিশপার্কসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান।
পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত ছিল নৌতরী। কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্মির রঙ্গিন খেলায় মেতে উঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে। ৩০ কি.মি. দীর্ঘ সৈকতের গাঁ ঘেষে গঙ্গামতির সংরক্ষিত বনাঞ্চল, দক্ষিণে দৃষ্টিসীমা যতদুর যায় শুধু নীল সাগরের জলরাশি অন্যদিকে দিগন্তজুড়ে লালিমা আকাশের গায়ে আবির মাখানো দৃশ্য পর্যটকদের অন্তরাত্মাকে প্লাবিত করে দিচ্ছে। মোবাইল ফোনে সেলফি, ঘোড়ার পিঠে চড়া, গান গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে আগত পর্যটরা। খুলনা থেকে বেড়াতে আসা মো. আবুল কালাম আজাদ (৩০) বলেন, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায় সম্ভব। যা সত্যিই উপভোগ্য।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ