বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে বাইসাইকেল পুরস্কার সেই শিক্ষার্থীই বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালে সে বাল্যববাহ ঠেকিয়ে ইউএনও’র কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিল। বর্তমানে সে মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বাল্যবিবাহের শিকার ওই মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় রাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির কাছে বিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় কাজী মোসলেম উদ্দিন তার বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেন। মেয়েটির বিদ্যালয় সূত্র মতে, বাল্যবিবাহ ঠেকানোয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালীন ওই মেয়েটি তৎকালীন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন এর কাছ থেকে একটি বাইসাইকেল উপহার দেন।
আজ শুক্রবার সকালে মেয়েটির বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বিবাহ উপলক্ষে বাড়ির চারপাশে নানা রংয়ের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছিল।
মেয়েটির মা ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালীন বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেয়েছিল ওই মেয়েটি। গতকাল বিয়ের পর মেয়েটি শ্বশুর বাড়ি চলে গেছে। তারা জানান, জন্ম সনদ দিয়ে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। তবে মেয়েটির মা জন্ম সনদ দেখাননি। বিবাহ নিবন্ধন করা কাজী মোসলেম উদ্দিন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া জন্ম সনদে বয়স ১৮ বছরের বেশি থাকায় তিনি বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছেন। তবে ওই সনদটির নম্বর অনলাইনে যাচাই করে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি মেম্বর মো. শাকিল আহমেদ জানান, তিনি গতকাল দুপুরে দাওয়াত খেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর আর কিছু জানেন না।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, যে জন্ম সনদের মাধ্যমে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করা হয়েছ হয়েছে তা ভুয়া হলে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।