বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মহিউদ্দিন খান মোহন
গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সবগুলো গেইট খুলে দেয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ আশঙ্কার খবর দেশের গণমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বসহ স্থান পেয়েছে। ভারতের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ফারাক্কার গেইট খুলে দেয়ার খবর গত ২৪ আগস্ট প্রথম আমাদের সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়েছিল, বিহারের বন্যা পরিস্থিতির অবণতি হওয়ায় ফারাক্কার ১শ’টি গেইট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এতগুলো গেইট একসাথে খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে ফলে ভারতের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। একইসঙ্গে এ বিপুল পরিমাণ পানি একযোগে পদ্মায় প্রবেশ করে বাংলাদেশে হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। খবরে বলা হয়েছিল, ফারাক্কা গেইট খুলে দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে আগেই নোটিশ দিয়ে জানানো হয় এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শও করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সমীর সিনহা। তিনি এ ঘটনাকে বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক ঘটনা বলেও উল্লেখ করেছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বছরের এ সময় ফারাক্কার গেইটগুলো খোলা থাকার কথা। তারা বলেছেন, সব গেইট খুললে ১১ লাখ কিউসেক পানিপ্রবাহ যদি-বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে তবে এতে বন্যার সৃষ্টি হবে না (যুগান্তর, ২৪ আগস্ট ২০১৬)।
ফারাক্কার পানি এলেও বন্যার সৃষ্টি হবে নাÑ বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের এমন অভয়বাণীর একদিন পরেই পত্রপত্রিকায় পদ্মা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার খবর বেরিয়েছে। ২৫ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ফারাক্কার সব গেইট খুলে দেয়ার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করায় পদ্মার পানি বিপদসীমা সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৭ আগস্টের পত্রিকার খবরে বলা হয়Ñ ভারত ফারাক্কার গেইট খুলে দেয়ায় হঠাৎ করে বন্যার কবলে পড়েছে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের কয়েকটি জেলা। এসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ক্ষেতের ফসল। নদী ভাঙনে বহু বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। খবরে বলা হয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ রাজশাহীতে গত ২৬ আগস্ট পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৮ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। প্রতিদিন সেখানে ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। একই অবস্থা পদ্মা ও এর শাখা নদী সংলগ্ন জেলাগুলোতে।
ফারাক্কার ১০৪টি গেইট কতদিন খোলা থাকবে তা বলা হয়নি। বিহারসহ ভারতের যেসব স্থানে বন্যা হয়েছে সেসব এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব গেইট যে খোলা থাকবে সেটা না বললেও চলে। ততদিনে ফারাক্কা থেকে যে বিপুল পরিমাণ পানি পদ্মায় প্রবেশ করবে তা ধারণ করার ক্ষমতা পদ্মার নেই। ফলে বাংলাদেশ এখন একটি ভয়ঙ্কর বন্যার মুখোমুখি অবস্থান করছে বলেই অনুমান করা যায়।
ভারত আমাদের নিকট প্রতিবেশী এবং বহির্বিশ্বের বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রক্ষার স্বার্থে বহুবিধ ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে খুশি রাখতে সচেষ্ট এটাও কারো অজানা নয়। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা ভারত সম্পর্কে এমনভাবে কথাবার্তা বলেন যে, মনে হয় ভারত ছাড়া আমাদের হিতাকাঙ্খী আর কোনো দেশ নেই। কিন্তু এখন কী দেখা গেল? নিজের স্বার্থে ভারত কখনোই বাংলাদেশকে এক ইঞ্চি ছাড় দিতে রাজি নয়। এখন ১০৪টি গেইট খুলে দিয়ে ভারত নিজে বন্যা থেকে পরিত্রাণ পাবার চেষ্টা করছে। কেন, সেখানে যখন বন্যা শুরু হয়েছিল তখনই কিছুসংখ্যক গেইট খুলে দিয়ে ধীরে ধীরে পানি সরিয়ে দিলে কি অসুবিধা ছিল? তাতে ভারতও প্রবল বন্যায় ভাসতো না, আর আমরাও এখন বন্যার কবলে পড়তাম না।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলোÑ এব্যাপারে সরকার কোনো রা শব্দ করছে না। ভারত সরকার যখন জানিয়েছিল তারা সবগুলো গেইট খুলে দেবে বাংলাদেশ সরকারের তখনই প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে কর্মকর্তারা বললেনÑ এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। এখন যে পদ্মার দু’কূল ছাপিয়ে পানি গ্রাম-গঞ্জ-জনপদ ভাসিয়ে দিচ্ছে এটা কী? এটা কী বন্যা নয়? নাকি ‘বন্ধুত্বের ঠুলী’ পড়ে আছেন বলে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা তা দেখতে পাচ্ছেন না? বলাই বাহুল্য, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি যখন একটি দেশের সরকার অবলম্বন করে তখন জাতীয় স্বার্থে তাদের কণ্ঠ দিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারিত হয় না।
ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ হিসেবেই চিহ্নিত। এ বাঁধের ফলে আন্তর্জাতিক নদী গঙ্গার পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে ভারত এককভাবে। ১৯৬১ সালে ভারত এ বাঁধ নির্মাণ শুরু করে এবং শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। ওই বছরই ২১ এপ্রিল বাঁধ চালু করা হয়। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সময়ই তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু ভারত তাতে কর্ণপাত করেনি। আর বাঁধটি যখন চালু করে তখন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কোনো রকম প্রতিবাদ করেনি। ‘বড় বন্ধু’র স্বার্থ নষ্ট করার ইচ্ছা বা শক্তি কোনোটাই সে সময় বাংলাদেশ সরকারের ছিল না। আর সে কারণেই এ বাঁধ চালু করতে ভারতকে তেমন কোনো বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়নি।
পরিবেশবিদগণ আগেই মন্তব্য করেছিলেন যে, ফারাক্কা বাঁধ চালু হলে এর বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে। কার্যতও তাই হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ভারত গঙ্গার পানি বিভিন্ন নদী ও শাখা নদী দিয়ে প্রত্যাহার করার ফলে বাংলাদেশে পদ্মায় পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় এবং নদ-নদী শুকিয়ে যায়। ফারাক্কার অশুভ থাবার কবলে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল মরুময়তার শিকারে পরিণত হতে যাচ্ছে। ভারতের এ অবন্ধুসুলভ আচরণের প্রতিবাদ বাংলাদেশ গোড়া থেকেই করে আসছে। বাঁধটি চালু হবার এক বছরের মধ্যেই বোঝা গিয়েছিল এ বাঁধের মাধ্যমে ভারত বাংলাদশেকে শুকিয়ে এবং ডুবিয়ে মারতে পারবে। আর সে জন্যই ফারাক্কা বাঁধ চালু হবার এক বছর ২৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ডাক দিয়েছিলেন ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের। গঙ্গার পানির ওপর বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যার দাবিতে অনুষ্ঠিত সে লং মার্চ এদেশের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল। তারা দেশের স্বার্থে সোচ্চার হয়েছিল, সে লং মার্চ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিসংঘে ফারাক্কা সমস্যা তুলে ধরেছিলেন। তার বলিষ্ঠ বক্তব্য ও আন্তর্জাতিক লবিংয়ের ফলে ভারত ফারাক্কা প্রশ্নে কিছুটা নমনীয় হয়। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ফারাক্কা পানি নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। সেখানে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ ৪৪ হাজার কিউসেক পানি পাবে বলে উল্লেখ ছিল। তবে ভারত সে সমঝোতা স্মারকের শর্তাবলী কখনোই পুরোপুরি মেনে চলেনি। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে গঙ্গা চুক্তি সই হয় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে। তাতে শুষ্ক মৌসুমে ৩৪ হাজার কিউসেক পানি বাংলাদেশ পাবে উল্লেখ করা হয়। তবে গ্যারান্টি ক্লজ না থাকায় ওই পরিমাণ পানি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা থেকে যায়। পরবর্তী সময়ে সে আশঙ্কা সত্যে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কখনো কখনো পদ্মায় পানিপ্রবাহ ৬/৭ হাজার কিউসেকেও নেমে আসে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুরুতেই বলা হয়েছিল ফারাক্কার কারণে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে। ফারাক্কায় পানি নিয়ন্ত্রণ এবং শুষ্ক মৌসুমে একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের পদ্মা অববাহিকা অঞ্চলের নদ-নদী খাল-বিল শুকিয়ে যায়। এসব কারণে দেশের মৎস্যসম্পদের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। কৃষিকাজে সেচ সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীববৈচিত্র্য অস্তিত্ব সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। ফারাক্কার অশুভ প্রভাব বাংলাদেশের শস্য, মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে পরিবেশ বিপর্যয়। বাংলাদেশ এ নিয়ে বহু দেন-দরবার করলেও ভারত তাতে কর্ণপাত করেনি কখনো।
কিন্তু এ পর্যায়ে এসে খোদ ভারতেই ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে কথা উঠেছে। ভারতীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে গত ২৫ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারকে বন্যামুক্ত করতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বিতর্কিত ফারাক্কা বাঁধকে পুরোপুরি সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে। কারণ ফারাক্কার ভয়াবহ প্রভাবে শুধু বাংলাদেশই নয়, বিহারসহ ভারতের কয়েকটি অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফারাক্কার উজানে যে পলি পড়া শুরু হয়েছে তার জেরে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে বন্যাকবলিত হচ্ছে বিহার ও উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, যে ফারাক্কা বাঁধ এতকাল বাংলাদেশের মরণফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত ছিল, এখন তা ভারতের জন্যও গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ সাহার দাবি নরেন্দ্র মোদি সরকার কতটা আমলে নেবে বা বিবেচনা করবে আমাদের জানা নেই। তবে তার দাবি যে অত্যন্ত যৌক্তিক সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আবার এটাও সত্যি যে, বাংলাদেশকে কাবু করার মোক্ষম অস্ত্র ফারাক্কা বাঁধ ভারত কখনোই তুলে নেবে না। এতে যদি তাদের দেশের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় হোক।
গত একচল্লিশ বছরের ইতিহাসে ভারত কখনোই ফারাক্কা বাঁধকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হিসেবে ব্যবহার করেনি। বরং বাংলাদেশকে চাপে রাখার জন্য, নিজেদের গলদ ফায়দা হাসিলের জন্য ফারাক্কাকে ব্যবহার করে চলেছে জুতসই অস্ত্র হিসেবে। যখন বাংলাদেশে ভারতের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত সরকার থাকে, তখন একটু হৈ চৈ হয় ফারাক্কা নিয়ে। আর যদি তাদের কাছে বিবেক বন্ধক দেয়া ‘জ্বী হুজুর’ মার্কা সরকার থাকে, তখন যা ইচ্ছে তাই করতে পারে তারা। বর্তমানে ঠিক সে অবস্থাই চলছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, ফারাক্কার গেইট খোলা এবং তার কারণে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার পরও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা টুঁ শব্দটিও করছেন না। এর কারণ অবশ্য অনুমান করা কষ্টকর নয়। অবশ্য গত ২৮ আগস্ট তথ্যমন্ত্রী মৃদু কণ্ঠে বলেছেনÑ ফারাক্কার সব গেইট খুলে দেয়া ঠিক হয়নি। তার এ মোলায়েম মন্তব্য ভারতের গায়ে লাগবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। যেখানে দরকার ছিল ভারতের এ অমানবিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো কণ্ঠে প্রতিবাদ করা, সেখানে এ মিনমিনে গলায় মৃদু আওয়াজ কেন সেটা বুঝতেও কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। কিছু বললে দাদারা যদি রুষ্ট হনÑ এ ভয়ে বোধকরি তারা ‘স্পিকটি নট’ হয়ে বসে আছেন। কে জানে তারা যখন এ বিষয়ে মুখ খুলবেনÑ তখন হয়তো বন্যা বিষয়ে ১৯৮৮ সালের সে অমীয় বাণীর পুনঃউচ্চারণ শোনা যাবেÑ ‘এ বন্যার জন্য ভারত দায়ী নয়।’
য় লেখক : সাংবাদিক
সড়যড়হ৯১@ুধযড়ড়.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।