Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটায় জালচুরির বিচারের নামে শ্রমিক লীগ নেতাসহ জেলেদের মারধরের অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:১১ পিএম

কুয়াকাটায় জাল চুরির বিচারকে কেন্দ্র করে শ্রমিক লীগ নেতাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় পক্ষপাতমূলক শালিস মিমাংসার প্রতিবাদ করায় কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্বাস কাজীকে লাঞ্চিত ও মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি। এসময় জাল চোরদের বিচার না করে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জেলেদের অভিযোগ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সম্প্রতি জেলেদের জাল চুরির হিড়িক পরে। ভূক্তভোগি জেলেদের জাল কে বা কারা চুরি করছে এর কোন হদিস পাচ্ছিল না। এমন মূহুর্তে চোর চক্রের অন্যতম পশ্চিম কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের জালাল মুন্সীর ছেলে আল আমিন মুঠোফোনে ২০হাজার টাকার বিনিময় চুরি হওয়া জালের সন্ধান দেয়ার কথা জানান ভূক্তভোগী জেলে শহীদ মোল্লা কে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য জেলেদের সন্দেহ হলে জেলে নেতাদের নিয়ে সমুদ্র থেকে ১৯ফার চুরি যাওয়া জাল উদ্ধার করে জেলেরা। এঘটনায় জেলে আল আমিন,রাশেল খান,মোঃ রিয়াজ,মোঃ হোসেন,মোঃ মাসুদ,মোঃ আল আমিন সহ ৬ জেলেকে জাল চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন জেলে শাহ আলম হাওলাদারসহ আরও ৩ জেলে।
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাল চুরির বিচারের জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা আক্কাস,লতাচাপলী ইউপি মেম্বর আলম ফকির, কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিব শরীফসহ স্থানীয় গন্যমান্য ৮জন বিষয়টি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পশ্চিম কুয়াকাটা এলাকায় শালিস বৈঠকে বসে। এসময় সালিশ বৈঠকে জাল চুরি প্রমানিত হলে চোরদের মাত্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং উদ্ধারকৃত চোরাই জাল ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। চোর সঠিক বিচার না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় এমন পক্ষপাতমূলক বিচারের প্রতিবাদ করেন শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্বাস কাজীসহ ভূক্তভোগি জেলেরা। এসময় লতাচাপলী ইউপি সদস্য আলম ফকিরের নেতৃত্বে সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা শ্রমিক লীগ সভাপতিসহ ভূক্তভোগী জেলেদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।
ভূক্তভোগি জেলে শাহ আলম হাওলাদার,বাচ্চু কাজী বলেন,এরা সংঘবদ্ধ চোর চক্র। দীর্ঘদিন যাবত জেলেদের জাল চুরি করে মাছ শিকার ও বিক্রি করে আসছিলো। এরা কয়েক লাখ টাকার জাল চুরি করলেও বিচারের নামে স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ প্রভাবশালীরা দায়সারা ভাবে বিচার করার নামে চোরদের দায়মুক্ত করে দেন।
কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক লীগ নেতা আব্বাস কাজী বলেন,স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ কয়েকজন প্রভাবশালী বিচারের তামাশা করছিল। তিনিসহ কয়েকজন ভূক্তভোগি জেলে এর প্রতিবাদ করলে আলম ফকিরের নেতৃত্বে হামলা ও মারধর করা হয়। তিনি আরও বলেন, একেকজন জেলের ৫০ হাজার থেকে ১লাখ টাকার জাল চুরি করে নিয়ে গেছে এই চোর চক্র। মাত্র বিশ হাজার টাকা জরিমানার মধ্যদিয়ে চোরদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার এর মূঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ