দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৩৯৬ জন। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৩৯৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৪ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৭৫১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে করে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬২১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গতবছর ৮ মার্চ। চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়; যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে। চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি তা ৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়; যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৬টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে তথা সর্বমোট ২১২টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স ০-১০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, দুই জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, তিন জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব আছেন ৬ জন।
বিশ্বে শনাক্ত করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৯১ লাখ পেরিয়েছে। এ সময় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৯ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৃতের সংখ্যায় অবস্থান ৩৮তম।