Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে যত্রতত্র এলপি গ্যাসের ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

মাদারীপুর জেলার ৪টি উপজেলার যেখানে-সেখানে বিক্রি করা হচ্ছে এলপি (সিলিন্ডার) গ্যাস। মুদি দোকান থেকে শুরু করে মোবাইল রিচার্জের দোকান, ফোন-ফ্যাক্সের দোকানেও এসব সিলিন্ডার গ্যাস অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এ দোকানগুলোতে নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করছে না।
জানা যায়, মাদারীপুর নতুন শহরের পুরানবাজারে, নতুনবাজার এবং শহরের বাইরের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারের বিভিন্ন দোকানে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই এসব গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। জেলার ৪ উপজেলার অধিকাংশ দোকানির এলপি গ্যাস বিক্রির অনুমোদনও নেই। তারপরও অনেক দোকানে পুরনো সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় ও মজুদ করতে পরিবেশ অধিদফতর, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অধিদফতরসহ জেলা প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও শুধু পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দোকানে সিলিন্ডার বিক্রি করছেন।
অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কোনো ধরণের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষেরও তদারকি না থাকায় জেলার অধিকাংশ দোকানে বিভিন্ন সাইজের এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য তালিকাও নেই। কিছু মৌসুমি দোকানিদের এলপি গ্যাস ব্যবহারের নিয়মকানুনও জানা নেই। নিম্নমানের রেগুলেটর, গ্যাস সরবরাহ পাইপ ও অনুমোদনহীন বিভিন্ন কোম্পানির ঝুঁকিপূর্ণ চুলা বিক্রিও হচ্ছে। বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও রেস্টুরেন্টে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে এবং দামও রাখা হচ্ছে ইচ্ছামতো। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়মকানুন না জানায় দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন স্থানের এলপি গ্যাস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আমরা অনেক দিন ধরেই সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছি। কিন্তু অনুমোদন বা লাইসেন্সের ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার নুর মোহাম্মদ সিকদার জানান, যারা এসব এলপি সিলিন্ডার বিক্রি করে তাদের ২০০৩ সালের অগ্নিনির্বাপক আইন অনুযায়ী যে পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে সে শর্ত অনুযাযী তাদের লাইসেন্স দেয়া হয়। যদি কোনো ব্যবসায়ী লাইসেন্সবিহীন কিংবা অগ্নিনির্বাপণের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে থাকে তাহলে সেটিও আমরা দেখব। এ ছাড়া যারা লাইসেন্স নিয়ে সিলিন্ডার ব্যবসা করেন তাদের আমরা মাঝে মাঝে সচেতন করি। বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণও দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বিধিবর্হিভুতভাবে বিভিন্নস্থানে দোকানে দোকানে এলপি গ্যাসের ব্যবসা করছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সামনে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ