পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জয়পুরহাট জেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলায় ৪২ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৭ হাজার ১৫০, পাঁচবিবি উপজেলায় ৭ হাজার ৫০, আক্কেলপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৩০০, ক্ষেতলাল উপজেলা ৮ হাজার ৮০ এবং কালাই উপজেলায় ১৩ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
গত বছর আলুর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন। এবার ধরা হয়েছে ১১ লাখ মেট্রিক টন। ভালো ফলন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষকরা এবার উন্নত জাতের- এ্যারিস্ট্রিক, কার্ডিনাল, ডায়ামন্ড, লরা, ক্যারেজ, গ্যানোলা, মিউজিকা, রোমানা, লাল পাকরি, দেশি জাতের- পাকরি, পাহারি পাকরি, বট পাকরি, তেল পাকরি, ফাটা পাকরি, জাম আলু ও আগাম জাতের-ফ্রেস আলুসহ অন্যান্য জাতের আলু চাষ করেছে।
আলু বীজের উচ্চমূল্য হওয়ায় বিঘা প্রতি আলুতে এবার খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় উৎপাদন হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ মন। বাম্পার ফলন এবং বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশী। জয়পুরহাট অঞ্চলে কৃষকরা জমি থেকে আলু তোলার উৎসবে মেতেছেন। বর্তমানে জাত ভেদে প্রতি মন আলুর বাজার দর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। জেলার কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ, মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট ও জিন্দারপুর ইউনিয়নের কৃষকরা এখন আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকরা জানান, জেলায় আলু তোলা শুরু হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা মুনাফা পাচ্ছেন। ফলন ভালো হওয়ায় এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলার খোসালপুর নওপাড়ার কৃষক তাজুল ইসলাম, থুপসাড়ার আব্দুল মোমিন, হাজীপাড়ার মোশাররফ, বালাইটের আব্দুল বাসেদসহ অনেকে জানান, ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশায় এবার তারা আলু চাষ করেছেন। তাদের দাবি, কৃষকদের স্বার্থে সরকার আলুর ভালো দাম নিশ্চিত করবে। এজন্য আলু আমদানি বন্ধ করে রফতানির উদ্যোগ জন্য এখন থেকেই নেওয়া প্রয়োজন।
শিবসমুদ্র গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, আগাম রোপনের আলু বিক্রি করেছি প্রতি মন ৭০০ টাকায়। বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এতেও লোকসান হচ্ছে না। আটিদাসরা গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, গত বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। এবার ৫ বিঘায় চাষ করে ইতোমধ্যে ৩ বিঘার আলু তোলা শেষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। ক্ষেতলালের কুড়লগাড়ি গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান ৬ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ৮৫ থেকে ১০০ মন আলু হয়েছে। আর প্রতি মন ৪৩০ টাকা করে বিক্রি করে তিনি খুশি।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স. ম. মেফতহুল বারি জানান, আলুর বাম্পার ফলন যাতে ভালো হয় সে জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকদের সাথে নিয়মিত ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং উঠান বৈঠক মাঠ সভা করেছে। এছাড়া কৃষকদের সচেতনতা বাড়াতে জেলার পাঁচ উপজেলায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এবার আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে এবং কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।