পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটা গত বছরের ১৬ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। একদিনে শনাক্ত রোগী কমলেও আগের দিনের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল শনিবার সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে। গত একদিনে ২৯১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন হয়েছে। এই সময়ে ১৩ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৬৬ জন। বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৩৭৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৫ জন। তাদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল। ১৭ এপ্রিল ২৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরদিন ১৮ এপ্রিল সংখ্যাটি ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক দিনের জন্যও শনাক্ত রোগী ৩০০ এর নিচে নামেনি।
গত কিছু দিন ধরে সংক্রমণে ধীর গতির মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগী ২৯২তে নেমে এসেছিল। এরপর সপ্তাহজুড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও তা ছিল ৫০০ এর নিচে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের ৩০০ এর নিচে নামল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার দেড় শতাংশ বাড়লেও রোগী শনাক্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুর হারও ৩ শতাংশ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার দাঁড়িয়ে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয়। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যু ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ।
জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে। গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে যে ১৩ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন, নারী ৬ জন। এদের মধ্যে ৬ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। বাকি ২ জনের ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ১ জনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৭ জন। বাকিদের মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের।
দেশে করোনায় এই পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুর হার ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২ দশমিক ০২ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে মৃতের হার ঢাকা বিভাগে ৫৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, খুলনায় ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ, সিলেটে ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৫১৭ জন, রাজশাহীতে ৪৭২ জন, খুলনায় ৫৫৬ জন, বরিশালে ২৪৯ জন, সিলেটে ৩০৯ জন, রংপুরে ৩৫৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।