পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ বছরের মাঝামাঝি সময়েই অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ সহয়তা আরও সহজ করতে চেষ্টা করছে। আইএমএফ বা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী করোনাকালে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে।
গতকাল শনিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় সিজিএস এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারে ড. নাজনীন আহমেদের লেখা ‘সার্চিং ওয়ে ফরোয়ার্ড ফর বাংলাদেশ ইন দ্য টাইম অব প্যানডেমিক: কোভিড-১৯ অ্যান্ড বাংলাদেশ ইকোনমি: ন্যাচার অব দ্য ডাউনটার্ন অ্যান্ড প্রসপেক্ট ফর রিকভারি’ শীর্ষক এক পলিসি ব্রিফ উপস্থাপন করা হয়।
ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক ও টিভি উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। ড. নাজনীন আহমেদ তার পলিসি ব্রিফে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ করেন। তিনি সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করে কোভিড-১৯ সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন।
ড. নাজনীন প্রচলিত আইনে অটো রাইস মিলের অতিরিক্ত খাদ্য মজুত আটকাতে এ সংক্রান্ত আইন নতুন করে সাজাতে বলেন। ড. নাজনীন সংকট মোকাবিলার জন্য তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন। এগুলো হলো, কোভিডকালীন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে বেসরকারি কোম্পানিকে যুক্ত করার সমালোচনাও করেন। তিনি পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানোর জন্য সুপারিশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।